স্টাফ রিপোর্টার: মানহানি ও তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল। বিচারপতি মো. মিফ্তাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল আসিফ নজরুল হাজির হয়ে আইনজীবীর
মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসিফ নজরুলকে ৫৭ ধারার মামলায় পুলিশি প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত এবং মানহানির মামলায় ১০ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর নিয়োগে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে উদ্ধৃত করে আসিফ নজরুল নিজের ফেসবুক পেইজে সম্প্রতি একটি পোস্ট দেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নৌ-মন্ত্রীর চাচাতো ভাই ও ভাগ্নে এ দুটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল আদালতে আসিফ নজরুলের পক্ষে জামিন শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির। পরে শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির মানবজমিনকে বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত এবং মানহানির মামলায় ১০ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন ড. আসিফ নজরুল। একই সঙ্গে এ মামলা দুটি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন আদালত।
চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর নিয়োগ নিয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহানকে উদ্ধৃত করে গত ১৮ই নভেম্বর নিজের ফেসবুক পাতায় একটি পোস্ট দেন আসিফ নজরুল। লস্কর নিয়োগে ৯২ জনের মধ্যে ৯০ জনই মাদারীপুর জেলার বলে সেখানে উল্লেখ করেন তিনি। এ ধরনের পোস্টে নৌপরিবহন মন্ত্রীর সম্মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে গত ২৩শে নভেম্বর মাদারীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন নৌপরিবহন মন্ত্রীর চাচাতো ভাই মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য খান ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বিষয়টিকে আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। এ ছাড়া মাদারীপুর সদর থানায় আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় আরেকটি মামলা করেন নৌপরিবহন মন্ত্রীর ভাগ্নে সৈয়দ আসাদউজ্জামান মিনার। পরে ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মামলাটি ২৬শে নভেম্বর নথিভুক্ত হয়।