চরমপন্থা দমনে আল কুরআনের বিধান

0
882
blank
blank

মো: ইয়াছিন মজুমদার: আল কুরআন একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। মানবজীবনের সকল বিষয়ের দিকনির্দেশনা এতে রয়েছে। মানবজাতি আদম আ:-এর বংশধর। একজন মানুষ মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়ে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে মুহাম্মদ সা:-কে শেষ নবী মেনে নিয়ে, নবী মুহাম্মদ সা:-এর ওপর অবতীর্ণ আল কুরআনকে মেনে চললে তাকে জান্নাতি হিসেবে গণ্য করা যায়। পক্ষান্তরে আদম আ:-এর বংশধর একজন ইহুদি বর্তমানে আল্লাহকে বিশ্বাস করে, আল্লার নবী মূসা আ:-কে মেনে নিয়ে মূসা আ:-এর ওপর অবতীর্ণ তাওরাতকে মেনে চললে তাকে কি জান্নাতি হিসেবে গণ্য করা যাবে? কিংবা একজন খ্রিষ্টান যদি আল্লাহকে বিশ্বাস করে আল্লাহর নবী ঈসা আ:-কে নবী মেনে তার ওপর অবতীর্ণ আল্লাহর কিতাব ইঞ্জিল মেনে চলে তাকে কি জান্নাতি গণ্য করা যাবে? কেন এ পার্থক্য? মূসা আ: ও ঈসা আ: আল্লাহর নবী এবং তাওরাত ও ইঞ্জিল আল্লাহর কিতাব। তবে বর্তমানে এগুলো মেনে চললে কেন মুক্তি পাওয়া যাবে না? এর কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলোÑ তারা তাদের কিতাবের আইনকানুনগুলো নিজেদের সুবিধামতো লিখে দিয়ে কিতাবের মধ্যে পরিবর্তন করেছে। আল কুরআন নবী মুহাম্মদ সা:-এর ওপর অবতীর্ণ সর্বশেষ আসমানি কিতাব, যার মধ্যে কোনো কিছু লিখে পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। কেননা আল্লাহ বলেনÑ ‘নিশ্চয় আমি একে অবতীর্ণ করেছি এবং নিশ্চয় আমি একে সংরক্ষিত রাখব’ (সূরা হিজর : ৯)। এ জন্য দেখা যায়, এত বিশাল গ্রন্থ হওয়ার পরও লাখ লাখ লোক সহজে তা মুখস্থ করে ফেলছে। বহু অন্ধ ব্যক্তি শুধু শুনে শুনে তা মুখস্থ করে ফেলছে। নামাজে বা তিলাওয়াতে ভুল করলে পেছন থেকে লোকমা দিয়ে, ছাপানোতে ভুল করলে একজন হাফেজ তিলাওয়াতের সাথে সাথে তা সংশোধন করে দেবে। আল্লাহ জিম্মাদারি নিয়েছেন বিধায় পড়ায় বা লিখায় কুরআনে পরিবর্তনের অবকাশ নেই, কিন্তু আমলের (বাস্তবায়নের) ক্ষেত্রে করা না করার স্বাধীনতা মানুষকে দেয়া হয়েছে। সে সাথে বাস্তবায়ন করলে জান্নাতি হিসেবে গণ্য, আর বাস্তবায়ন না করলে জাহান্নামের শাস্তির ঘোষণা দেয়া আছে। কুরআনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন না করে আমরা যদি কিছু ক্ষেত্রে তা মেনে চলি আর কিছু ক্ষেত্রে কুরআনের বিধান বাদ দিয়ে নিজেদের রচিত আইনকানুন মেনে চলি তবে ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সাথে আমাদের পার্থক্য কোথায়? আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কি আমার কিতাবের কিছু অংশ মেনে চলো এবং কিছু অংশ অস্বীকার করো। যে এরূপ করবে সে দুনিয়ায় কষ্টকর লাঞ্ছিত জীবনযাপন করবে এবং কিয়ামতে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবে। (সূরা বাকারা : ৮৫)
বাস্তবতায় দেখা যায়, আমাদের দেশে ধর্মভীরু ব্যক্তিরা আল কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যক্তিগত ইবাদত যেমনÑ নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পবিত্রতা অর্জন, হালাল রুজি, তাছবিহ, জিকির পর্দা পোশাক ইত্যাদি পালন করেন। আবার সামাজিকভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা যেমনÑ লেনদেন, প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের হক আদায়, সাম্য, বিবাহবন্ধন সমাজসেবামূলক কার্যাদি ইত্যাদিও অনেকটা পালন করেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে বাস্তবায়নের নিদের্শনা যেমনÑ আল্লাহর আইন ও রাসূল সা: প্রদর্শিত রাষ্ট্রনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, বাণিজ্যনীতি, আল কুরআনের ফৌজদারি ও দেওয়ানি দণ্ডবিধি অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা এসব ক্ষেত্রে উদাসীন, এ বিষয়টির বাস্তবায়নের চেষ্টাও করেন না এবং গুরুত্ব অনুধাবন করেন না। অনেকে আবার এটাকে রাজনীতি বলে মনে করে এর থেকে দূরে থাকেন। আল কুরআনের সব আয়াতের মধ্যে কেউ যদি বলে আমি একটি আয়াত অস্বীকার করি, তবে কি সে ঈমানদার থাকবে? তাহলে কুরআনের কিছু অংশ মেনে কিছু অংশ না মানলে তার অবস্থা কী হবে তা কি বিবেক দিয়ে চিন্তা করি? উদাহরণস্বরূপ আল কুরআনের একটি দণ্ডবিধি তুলে ধরছি: আল্লাহ বলেন, ‘অবিবাহিত যুবক-যুবতী যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাদের প্রত্যেককে একশত করে বেত্রাঘাত করো।’ (সূরা নূর : ২) প্রশ্ন হলো এ ফৌজদারি শাস্তি কার্যকর করবে কে? কোনো মসজিদের ইমাম, নাকি সামাজের মাতব্বর? কোনো ব্যক্তি কি শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা রাখে? ব্যক্তি শাস্তি দিলে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থের সুযোগ থাকে। নবী সা:-এর যুগ ও পরবর্তী খলিফাদের যুগে এ শাস্তি দিয়েছিলেন কাজী অর্থাৎ বিচারক বা আদালত। তার মানে শাস্তি দেবে রাষ্ট্র। আমাদের রাষ্ট্রীয় আইনে কি এ ব্যবস্থা আছে? যদি না থাকে তবে কুরআনের এ অংশটি বাদ দেয়া হলো। এমনিভাবে কুরআনের বিধান হলোÑ সুদ হারাম। রাষ্ট্রীয় আইনে সুদভিত্তিক ব্যাংক, বীমা ইত্যাদি বৈধ। কুরআনের বিধানে ব্যভিচার হারাম। রাষ্ট্রীয় আইনে কোনো নারী কোর্টে এফিডেভিট করে বা সরকারি অনুমতি নিয়ে সরকার অনুমোদিত পতিতাপল্লীতে কক্ষ ভাড়া নিয়ে ব্যভিচারের দোকান খুললে তা বৈধ। কুরআনের বিধানে মদ হারাম। রাষ্ট্রীয়ভাবে লাইসেন্স করে মদ বিক্রির বার, কাব, দোকান খোলার সুযোগ রয়েছে। এমনিভাবে কুরআনের বিধানের বিপরীতে অসংখ্য মানবরচিত বিধান প্রচলিত রয়েছে। তবে রমজানে অবতীর্ণ কুরআনের ওপর পরিপূর্ণ আমল (বাস্তবায়ন) কিভাবে হবে?
ধরা যাক আমি একটি ফার্মের মালিক। আমি আমার ফার্মের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছি নির্দিষ্ট পোশাক পরার জন্য। আমার প্রশংসা গুণকীর্তন করার জন্য, দৈনিক পাঁচবার অফিসে হাজিরা দিয়ে প্রশংসা বা গুণকীর্তন করার জন্য, যত বেশি গুণকীর্তন তত বেশি বোনাস দেয়া হবে। একই সাথে ফিল্ডওয়ার্ক কোন নিয়মে করবে সেগুলোরও নির্দেশ দিয়েছি। কোনো কর্মকর্তা যদি ফিল্ডওয়ার্কে আমার নিয়ম না মেনে নিজ খুশি মতো নিয়মে কাজ করে বা আমার সাথে শত্রুতা করে যারা তাদের নিয়ম মেনে কাজ করে। ওই কর্মকর্তা যতই আমার প্রশংসা করুক যতই আমার নির্ধারণ করা পোশাক পরুক যতই দৈনিক পাঁচবার অফিসে হাজিরা দিয়ে আমার গুণকীর্তন করুক আমার নিয়মে ফিল্ড ওয়ার্ক না করার কারণে তাকে আমি চাকরিতে কি রাখব? নিশ্চয়ই রাখব না। ঠিক তেমনিভাবে শুধু পাঁচওয়াক্ত নামাজ, ধর্মীয় পোশাক, আল্লাহর তাছবিহ, প্রশংসা যতই করি না কেন, আল্লাহর দেয়া আইন পরিত্যাগ করে মানবরচিত আইনে যদি শাসন পরিচালনা করি তার অবস্থা কি ওই কর্মকর্তার মতো হওয়ার কথা নয়? আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব নাজিল করেছি, যেন তুমি সে অনুযায়ী মানুষের মাঝে বিচার-ফায়সালা করতে পারো, যা আল্লাহ তোমাকে শিক্ষা দিয়েছেন। তুমি খিয়ানতকারীদের সাহায্য ও সমর্থনকারী হয়ো না।’ (সূরা নিসা: ১০৫) তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী মানুষের মধ্যে মীমাংসা করবে তাদের মনের খেয়াল খুশিমতো কাজ করবে না।’ (সূরা মায়েদা: ৪৯) আরো কঠোর ভাষায় আল্লাহ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাব অনুযায়ী হুকুম (বিচার, মীমাংসা ও রাষ্ট্র) পরিচালনা করবে না সে কাফের।’ (সূরা মায়েদা: ৪৪) রাসূল সা: বলেন, ‘আল্লাহর কিতাব তাতে রয়েছে অতীত জাতির ইতিহাস, ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য ভবিষ্যদ্বাণী এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে তোমাদের পারস্পরিক বিষয় সম্পর্কিত রাষ্ট্রীয় আইনকানুন। বস্তুত এটি এক চূড়ান্ত বিধান তা কোনো বাজে জিনিস নয়।’ (তিরমিজি) রাসূল সা: আরো বলেন, ‘ইসলাম ও রাষ্ট্র যমজ ভাই। নিজের সঙ্গী ছাড়া একে-অপরে নিখুঁত থাকতে পারে না। ইসলাম হচ্ছে ভিত্তি এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হচ্ছে রক্ষক। যার ভিত্তি নেই তা ধ্বংস হয়ে যায় আর যার রক্ষক নেই তা হারিয়ে যায়।’ (কানজুল উম্মাল)
তাই নবী-রাসূলগণ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয়েছিলেন যেন সহজে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করা যায়। হজরত ইউছুফ আ: প্রথমে চৌদ্দ বছর মিসরে খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছিলেন। দাউদ আ: রাষ্ট্রপ্রধান থেকে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী বিচার পরিচালনা করেছেন। হজরত সোলায়মান আ:-এর রাজত্ব ছিল পৃথিবীব্যাপী, তিনি মন্ত্রিপরিষদ নিয়ে সিংহাসনে বসে বাতাসের সাহায্যে রাজ্য পরিদর্শনে যেতেন। ফেরআউনি আইনের বিপক্ষে ছিল মূসা আ:-এর লড়াই, নমরুদি আইনের বিরুদ্ধে ছিল ইব্রাহিম আ:-এর লড়াই। জালুতকে পরাজিত করে তালুত আ: আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করেন। এগুলোর বর্ণনা কুরআনে রয়েছে। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর মদিনাকেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিয়োগ, সামরিকব্যবস্থা গ্রহণ ও পরবর্তী খলিফাগণ রাষ্ট্রীয়ভাবে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ইসলামের ইতিহাসে সামান্য জ্ঞানীব্যক্তিও তা জানেন। প্রশ্ন হতে পারে যদি আল্লাহর আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা হয় তবে এ দেশের অন্য ধর্মাবলম্বীদের কী হবে? রাসূল সা:-এর যুগে ও পরবর্তী খলিফাদের যুগে ও ইসলামি রাষ্ট্রে অমুসলিমরা ছিলেন। তারা ধর্মের আইন অনুযায়ী তাদের জীবন পরিচালনা করেছেন। ধর্মপালনে সব ধর্মের লোক স্বাধীন থাকবে এটাই ইসলামের বিধান।
বাংলাদেশে আংশিক সামান্য দু-একটি ক্ষেত্রে হলেও ধর্মীয় বিধান রাষ্ট্রীয়ভাবে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ যদি প্রশ্ন করি একজন মুসলিম ব্যক্তি এক ছেলে এক মেয়ে ও তিন বিঘা জমি রেখে মারা গেলেন, অপর দিকে একজন হিন্দু ব্যক্তি এমনিভাবে এক ছেলে এক মেয়ে ও তিন বিঘা জমি রেখে মারা গেলেন। কে কতটুকু সম্পদ পাবে? স্বাভাবিক জবাব আসবে মুসলিম ব্যক্তির ছেলে দুই বিঘা ও মেয়ে এক বিঘা জমি পাবে। হিন্দু ব্যক্তির ছেলেই তিন বিঘা জমি পাবে। মেয়ে কোনো জমি পাবে না। উল্লিখিত বণ্টনটি সম্পূর্ণ ধর্মীয় আইনের বণ্টন এবং রাষ্ট্রও এ ধর্মীয় আইনটি উভয় ধর্মের স্বকীয়তা বজায় রেখে রাষ্ট্রীয় আইনে বহাল করেছে বিধায় গুরুত্বপূর্ণ এ সম্পদ বণ্টন আইন উভয় ধর্মের বিধান অনুযায়ী বণ্টন হচ্ছে। তা হলে রাষ্ট্রীয় আইন যদি সব ধর্মের আইনের সাথে এমনিভাবে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়। তবে সব ধর্মের লোক তাদের ধর্মীয় বিধান পালন করার পুরোপুরি সুযোগ পাবে। রাষ্ট্র যদি এই দায়িত্ব হাতে নেয় কুরআনের বিধান পরিপূর্ণ পালন সহজে সম্ভব হবে এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের প্রভাব কমবে এবং কুরআনের আইন বাস্তবায়নের নামে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি বন্ধ হবে। রাষ্ট্র এ দায়িত্ব পালন না করায় কিছু ইসলামি চিন্তাবিদ ও একাধিক ইসলামি দল গণতান্ত্রিক উপায়ে সে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কুরআনের পথে আহ্বানের পথ কণ্টকপূর্ণ। কুরআনবিরোধীরা তাদের প্রতিবন্ধক হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশুদ্ধ হাদিসের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ বুখারি শরিফের প্রথম পৃষ্ঠায় নিয়তের হাদিসের পরই বর্ণিত আছেÑ নবী করিম সা:-এর কাছে যখন হেরা গুহায় ওহি আগমন করল তিনি ভীত অবস্থায় ঘরে এসে কম্বল মুড়ি দিয়ে কিছু সময় অতিবাহিত করলেন। ভীতিভাব কমে গেলে নবীজির স্ত্রী খাদিজা রা: তাঁকে তৎসময়ের বড় আলেম ওরাকা বিন নওফলের কাছে নিয়ে গেলেন। সব শুনে ওরাকা বললেন, ‘এত সেই ফেরেশতা, যে হজরত মূসা আ:-এর কাছে ওহি নিয়ে আসতেন। তোমার কাছে ওই ফেরেশতা ওহি নিয়ে এসেছেন। ভাতিজা লোকেরা তোমাকে যখন নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেবে আমি ওই সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকলে তোমাকে সহযোগিতা করব।’ বর্তমানে চোর-ডাকাতের ভয়ে সম্পদ ব্যাংকে জমা রাখা হয়। জাহেলি যুগে ব্যাংকব্যবস্থা না থাকায় তারা নবী করিম সা:-এর কাছে তাদের সম্পদ আমানত রাখত। নবীজির সৎ চরিত্রের জন্য তারা নবীজিকে খুব ভালোবাসত। কাবাগৃহের কালো পাথর সরানোকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য রক্তয়ী সংঘর্ষ নবীজির সিদ্ধান্তে বন্ধ হয়। বিশ্বস্ততার জন্য নবীজি সা:-এর উপাধি ছিল আল-আমিন। তাই ওরাকা বিন নওফলের মুখে নির্যাতনের কথা শুনে নবীজি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন। তারা আমায় নির্যাতন করবে? দেশ থেকে বের করে দেবে? তখন ওরাকা বিন নওফল বললেন, ভাতিজা হকের পথে আহ্বান করে বাতিলের সাথে দ্বন্দ্ব হয়নি এমন কখনো হয়নি।’
তাই কুরআনের বিধান জীবনের সর্বস্তরে বাস্তবায়নের আহ্বানকারীদের জুলুম-নির্যাতনে ধৈর্য ধরে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে দাওয়াতি কাজ করে যেতে হবে। সন্ত্রাস ইসলাম সমর্থন করে না, তাই সন্ত্রাসের পথ পরিহার করতে হবে।