ছাত্রলীগ নেতার পরিবারকে উচ্ছেদের অভিযোগ

0
468
blank
blank

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক ছাত্রলীগ নেতা ও তাঁর বৃদ্ধ মাকে পিটিয়ে আহত এবং ওই ছাত্রলীগ নেতাকে মামলায় জড়িয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে তাঁর প্রতিপক্ষ। একপর্যায়ে তাঁদের বসতবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। ওই নেতা তিন মাস ধরে কারাগারে আছেন। আর তাঁর মা আছেন অন্যের বাড়িতে।

১৫ নভেম্বর এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন সোহরাব হোসেন নামের ওই ছাত্রলীগ নেতার মা দেলোয়ারা বেগম । সোহরাব লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

দেলোয়ারা বেগমের অভিযোগ, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ কয়েক নেতার মদদে তাঁদের পৌরসভার দেনায়েতপুর এলাকার টিসি সড়ক এলাকার বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দেনায়েতপুর এলাকায় দেলোয়ারা বেগম তাঁর পৈতৃক সাড়ে ৪ শতাংশ জমির ওপর সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে ২৫ বছর ধরে বাস করছিলেন। ২০১৫ সালে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর ওই জমির ভুয়া মালিকানা দাবি করে স্থানীয় আজাদ খান ও ফিরোজ খান তাঁকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালান। গত ১৩ আগস্ট সকালে আজাদ ও ফিরোজ ভাড়াটে লোকজন নিয়ে বসতঘর দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি ও তাঁর ছেলে সোহরাব বাধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে উল্টো তাঁদের বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই দিনই বিকেলে সোহরাবকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় গত ১৪ আগস্ট সোহরাবের মা দেলোয়ারা বেগম শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কার কথা জানিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই জমিতে স্থিতাবস্থায় বজায় রাখতে থানার ওসি ও ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর বসতঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে আসবাবপত্র লুটে নিয়েছে বলে দেলোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন।

জমির মালিকানার দাবিদার আজাদ খান বলেন, তাঁরা ক্রয়সূত্রে জমিটির মালিক। পরিবারসহ ঢাকায় থাকতেন বলে ২৫ বছর আগে একতলা বাড়িসহ জমিটি সোহরাবের বাবা জাহাঙ্গীরের কাছে ভাড়া দেন। এ সুযোগে তাঁরা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জমিটির ওপর মালিকানা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন। তাঁরা সোহরাব ও তাঁর মাকে মারধর করেননি।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মারুফ বিন জাকারিয়া বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কেউ জমির মালিক হলেও দেশে প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তা দখলে নিতে হয়। কিন্তু গায়ের জোরে বাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুটে নেওয়া কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না।

রায়পুর থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশ হাতে পাওয়ার পর বাড়ি ভাঙার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বসতঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই।