ডাকসু নির্বাচনও কলঙ্কিত করা হলো: বিএনপি

0
699
blank
blank

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‌‘মধ্যরাতের ভোটের সংস্কৃতি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বের হতে পারেনি। ডাকসু নির্বাচনেও রাতে ব্যালট বাক্স ভরা হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। ২৮ বছর পরে ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ ছাত্রদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘নাৎসিবাদী গণতন্ত্রের নানারূপ এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিফলিত হয়েছে। ঢাবির ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মোট ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে ১৮টি হলে। অথচ ছাত্রলীগ ছাড়া সব সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা একাডেমিক ভবনে ভোট কেন্দ্র দাবি করেছিলেন। দাবি করেছিলেন ভোটের সময় বাড়ানো, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের। কিন্তু এসব দাবি নাকচ করা হয়েছে। এমনকি নির্বাচনের সব ধরনের অনিয়মের প্রমাণ না রাখতে মিডিয়াকে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে এসময় রিজভী বলেন, ‘যে পিজি হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) অন্য হাসপাতাল থেকে ক্লিনিক্যাল যন্ত্রপাতি ধার করে আনতে হয়, সেখানে কিভাবে সুচিকিৎসা সম্ভব। আওয়ামী নেতার চিকিৎসা সেখানে সম্ভব হয়নি। বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনার পরও আওয়ামী নেতাদের বিদেশে পাঠাতে হয় চিকিৎসার জন্য। সেটিও আবার রাষ্ট্রীয় খরচে। অথচ বেগম জিয়ার নিজ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালে নিজ খরচে চিকিৎসা করানোর সুযোগ নেই। তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শুধু বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মিডনাইট ভোটের সরকার প্রধানের প্রতিহিংসার তুষের আগুন ধিকিধিকি জ্বলার কারণেই তিনি কারান্তরালে এবং তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে সানগ্লাস পরা দেখলে মনে হয় না তিনি অসুস্থ। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমি প্রেসিডিয়াম সদস্য মিসেস সাজেদা চৌধুরীর প্রজ্ঞা ও জাজমেন্টের প্রশংসা করি এ জন্য যে, তার দলেরই একজন নেতা ও মন্ত্রী সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন বিশ্বের সেরা বেয়াদব। এমন কোনো কি ব্যক্তি আছেন? যাদের চোখে অপারেশন হওয়ার পর সানগ্লাস পরেন না? চোখের ক্ষত না সারা পর্যন্ত রোদ, ধূলা ও পানি থেকে চোখকে নিরাপদ রাখার জন্যই তো সানগ্লাস ব্যবহার করে।’

তিনি বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রীর কথাবার্তা শুনলে মনে হয় মন্ত্রিত্ব রক্ষার গ্যারান্টির জন্যই আগের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর চেয়ে এক ধাপ উপরে থাকতে চাচ্ছেন। সেজন্যই জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দিনরাত অশ্রাব্য অশোভন মন্তব্য করতে দ্বিধা করছেন না।’

‘আওয়ামী লীগের আরেকজন নেতা বলেছেন, খালেদা জিয়া সুস্থতা বোধ করায় হাসপাতালে যেতে চাচ্ছেন না’, -উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে মশকরা করতেই মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তার প্রতি সরকার প্রধানের বিদ্বেষ পোষণের কারণেই সরকার তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে না।’