প্রধানমন্ত্রী কার কাছে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন? : মির্জা ফখরুল

0
491
blank

ঢাকা: ‘২০০১ সালের নির্বাচনের পূর্বে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাল্টা প্রশ্ন করে বলেছেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কিভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন, কার কাছে মুচলেকা দিয়েছিলেন?
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের ধারণা আছে যে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে আসলেন। তিনি সব জায়গায় দৌড়ালেন। এরশাদ সাহেবের কাছে গেলেন। তাকে নির্বাচনের জন্য রাজি করালেন। তাহলে কি মানুষ এটাই ভাববে যে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারতের ‘র’ এর ভুমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
সোমবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমাদের হতবাক করেছে। তিনি এতবড় দায়িত্বজ্ঞানহীন উক্তি করতে পারেন তা আমাদের চিন্তারও বাইরে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা কখনোই দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করিনি। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে নাকি বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। প্রধানমন্ত্রীর মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তির এমন মন্তব্যে এ কথা তিনি পরিস্কার করে দিয়েছেন যে, এদেশে তাহলে বিদেশীরা অবস্থান করছে। তারা বিভিন্ন ভাবে কাজ করছে এবং সরকার পরিবর্তনশীলতার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে এ ধরনের উক্তি দেশ ও জাতির জন্যে কতটা মঙ্গলজনক হবে তা সহজেই অনুমেয়।
আসলে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক স্বার্থে অবলীলায় মিথ্যাচার করেন। ফলে জাতি আরো বিভক্ত হয়। অথচ দেশের সঙ্কট মোকাবিলায় ও অথনৈতিক উন্নয়নে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা দরকার। তার উচিত ভেবেচিন্তে মন্তব্য করা। দেখেন আজ পর্যন্ত যত বক্তব্য তিনি দিয়েছেন, তার মতো কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীণ বক্তব্য আমরা দেইনি।
তিনি বলেন, লোকজন বলে খোদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নাকি লোকজন বসে থাকে, বাইরের লোকজন। কারা বসে থাকে আমরা জানি না। এর ব্যাখ্যা তো তার দেয়া উচিত। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে দেশের মানুষের কথা, আন্তর্জাতিক স্বার্থের কথা এবং যেটা বলা উচিত, সেই কথা বলা।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের সাথে বিভিন্ন নদীর পানি চুক্তি ছাড়া দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী চুক্তি হলে জনগণ মেনে নিবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী মাসের ৮ তারিখে ভারতে যাবেন। আমরা আশা করছি তিনি তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি করবেন। তবে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ববিরোধী কোনো চুক্তি করলে দেশের জনগণ মানবে না।
এরআগে ২৬ মার্চ উপলক্ষে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি নিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে দলের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, রুহুল কদ্দুস তালুকদার দুলু, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ সহ বিএনপি অঙ্গসংগঠনের সিনিয়র নেতাকর্মীরা।