বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জরুরী

0
896
blank

ঢাকা: বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না থাকার কারনে দেশে হত্যা, গুম, রাহাজানি ও সহিংসতা বিরাজ করছে বলে আলোচকরা অভিমত প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে। ১৯শে অক্টোবর বুধবার ভয়েস ফর বাংলাদেশ ও বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, ইউকের যৌথ উদ্যোগে হাউস অব কমন্সে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ,স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’র প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রধান আহবায়ক ও বাংলাদেশি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, ইউকের প্রতিষ্ঠাতা আতাউল্লাহ ফারুকের পরিচালনায় আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রভাবশালী লর্ড, র্লড নাজির আহমেদ। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা রাখেন, লর্ড এন্ড্রু স্টানেল, এন্ড্রু স্টেপেনসন এমপি, জনাথন র্যা নল্ড এমপি, ইয়াসমিন কুরাইসি এমপি, এমন্যাস্টি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ বিষয়ক প্রধান ওল্ফ ব্লমকুইস্ট, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’র দক্ষিন এশিয়ার ডিরেক্টর মিনাক্ষি গাঙ্গুলি, কমনওলেথের হেড অব ট্রান্সপারেন্সি এলিনর স্টুয়ার্ড প্রমুখ।
ড. বদিউল আলম মজুমদার মূল আলোচনায় বলেন , বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হওয়ার কারনে সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ভোটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৭.১৩ শতাংশ এবং সর্বনি¤œ ৫৫.৪৫ শতাংশ অংশ গ্রহন করেন। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়। ১৫৪ জন সংসদ সদস্য প্রতিদ্বন্দীতা ছাড়াই নির্বাচিত হন। দেশ- বিদেশে ওই নির্বাচন গ্রহনযোগ্যতা পায়নি। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন গঠন করে সুষ্টু নির্বাচনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সভাপতি লর্ড নাজির আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, প্রবাসি বাংলাদেশিরা তাদের দেশের বিভিন্ন দাবী নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। আমি তাদের দাবীর সাথে একমত। তবে আমাদের একার পক্ষে তেমন কিছু করার নেই। আমি তাদের পরামর্শ দিয়ে বলবো, আপনারা ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দকে একত্রিত করে আপনাদের দাবী স্থানীয় এমপিদের কাছে উপস্থাপন করেন। তারা পার্লামেন্টে আপনাদের দাবী উপস্থাপন করলে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিতে পারে।
ব্রটিশি র্পালামণ্টেরে র্লড – র্লড এন্ড্রো স্ট্যানলে তার বক্তব্যে বলনে গণতন্ত্ররে র্স্বাথে সরকাররে উচতি নরিপক্ষে নর্বিাচন কমশিন গঠন করা। তনিি বাংলাদশেরে বগিত জাতীয় নর্বিাচনরে সমালোচনা করে বলনে সকল দলরে অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো নর্বিাচন আর্ন্তজাতকি মহলে গ্রহণযোগ্য হওয়া উচতি নয়।
ব্রটিশি র্পালামণ্টেরে এমপি -এন্ড্রো স্টপিনেশন তার বক্তব্যে বলনে সকল রাজনতৈকি দলরে অংশগ্রহণে সংলাপই হতে পারে বাংলাদশেরে র্বতমান রাজনতৈকি সমস্যার সমাধান এবং বাংলাদশেরে গুম,খুন এবং বচিারবহর্ভিুত হত্যা সর্ম্পকে গভীর উদ্বগে প্রকাশ করনে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর দক্ষিন এশিয়ার ডিরেক্টর মিনাক্ষি গাঙ্গুলি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের এক সময়ের দীর্ঘকালীন সামরিক শাসক এরশাদ যেখানে বিরোধী দলে সেখানে গণতন্ত্রের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। এ সরকারের আমলে পুলিশ-র্যা ব ডিবির পরিচয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদের কোন রকম ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করছে। শুধু গ্রেফতার করেই ক্ষান্ত নয় তারা। মোটা অংকের টাকা না দিলে তাদের ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাদের রাজাকার ও জঙ্গি আখ্যা দেয়া হচ্ছে। সরকারের সমালোচনা করায় অনেক সাংবাদিক , ব্লগার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের গুম করে ফেলা হচ্ছে। সারা দেশে জামায়াত- শিবির ও বিএনপি – ছাত্রদল – যুবদল এর নেতাকর্মীদের গুম করা হচ্ছে। এদের কেউ কেউকে পঙ্গু এবং অনেককে নিহত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে।
অ্যামনস্টেি ইন্টারন্যাশনাল এর বাংলাদশে ও মালদ্বীপ এর প্রধান ওলফ ব্লমকভস্টি তার বক্তব্যে বলনে বাংলাদশেরে মানবাধকিার চরম হুমকরি সম্মুখীন, তনিি এ বষিয়ে অ্যামনস্টেি ইন্টারন্যাশনাল এর উদবকেরে কথা উল্লখে করনে এবং তনিি আরো বলনে বাংলাদশেে বাকস্বাধীনতা নইে এবং আইসটিি এক্ট বাকস্বাধীনতার জন্য একটি হুমক।ি
বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা,হত্যা,গুম,খুন,রাহাজানি বন্ধ এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার্থে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবী জানিয়ে বৃটিশ পার্লামেন্টে আয়োজিত ওই সেমিনারের আয়োজক কমটিরি পক্ষ থকেে উপস্থতি ছলিনে বাংলাদশেী স্টুডন্টেস ইউনয়িনরে আহবায়ক এস এইচ সোহাগ, ভয়সে ফর বাংলাদশে ইউকে শাখার আহবায়ক ফয়সাল জামলি, কানসি ফাতমিা, ফরহাদ হোসাইন, মোঃ আল উদ্দনি রাসলে, লুৎফর রহমান, মাহমুদুলহাসান , আব্দুল্লাহ আল নোমান, পারভীন বব,ি ফয়জুন নূর, গরবি হোসনে ,হাসনাত চৌধুরী, আইনজীবি মোঃ ডলার বশ্বিাস, লুৎফর রহমান লঙ্কিন, বাকীউল্লাহ ফারুক , রাসলে রহমান, আব্দুর রহমি, জয়নাল আবদেীন, ইসতখোর হোসাইন, জাহাঙ্গীর হোসাইন প্রমুখ।
সেমিনার শেষে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে ব্রিটিশ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ও পেশাজীবিরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। সেমিনারের সভাপতি ও প্রবন্ধকার তাদের প্রশ্নের জবাব দেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি