লন্ডনে জাস্টিস ফর ভিকটিমস এর মানবাধিকার সেমিনার অনুষ্ঠিত

0
683
blank
blank

লন্ডন থেকে দিপু বিন হাসিব: বাংলাদেশে আইনশৃংখলা বাহিনী কর্তৃক গুম, বিচার বহিভূত হত্যাকান্ড, জনগণের নিরাপত্তা, গণতন্ত্রের সংকট নিয়ে পূর্ব লন্ডনের স্টেপনীগ্রীন ব্লুমুন মিডিয়া সেন্টারে মানবাধিকার সংগঠন “জাস্টিস ফর ভিকটিমস” এর উদ্দোগে ১১ই অক্টবর এক সেমিনারের আয়োজন করা হয় ।

এতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে সাবেক ছাত্রনেতারা উপস্থিত হন।
জাস্টিস ফর ভিকটিমস এর সিনিয়র সহ সভাপতি সৈয়দ মোজাক্কির আহমদ এর সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহমদ জিলানীর পরিচালায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরীর সাবেক সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম শাহীন।
বক্তব্য রাখেন জাস্টিয ফর ভিকটিমস এর সভাপতি জহিরুল ইসলাম, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকে এর সভাপতি মুসলিম খান, জাস্টিয ফর ভিকটিমস এর সাধারণ সম্পাদক লায়েক আহমেদ।
সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন জাস্টিস ফর ভিকটিমস এর সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্রগ্রাম শাখার সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আসয়াদুল হক।
প্রধান অতিথি: সিরাজুল ইসলাম শাহীন বলেন: বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড হচ্ছে এক প্রকার বেআইনি হত্যাকান্ড যা সাধারণত রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব বা অপরাধীকে রাষ্ট্র প্রদত্ত আইনত বিচারের পূর্বেই হত্যা করা হয় ।
বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড শুরু হয় ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সাল থেকে অর্থাৎ যেদিন থেকে মুজিব রক্ষীবাহীনি গঠন করেন । বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের প্রথম শিকার ছিলেন সিরাজ শিকদার । রক্ষীবাহীনি তাকে হত্যা করে গুম করে । এই রক্ষীবাহীনির হাতেই ৪০ হাজার বিরোধী দলীয় নেতা কর্মী হত্যার শিকার হন ।
জহিরুল ইসলাম বলেন: বাংলাদেশে গনতন্ত্র আছে কি নেই, থাকলেও কতটা আছে তা সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারন মানুষের পক্ষে বোঝা মুশকিল । কেন ও কোন কারনে এ ধারনার উদ্ভব হয়েছে এ সম্পর্কেও পুরোপুরি ধারনা তাদের নেই বললেই চলে । কারন গনতন্ত্রের মোড়কে শাসন ব্যবস্হা ও সৈরাচারী শাসন এই উভয়ের মধ্যেই তাদের বসবাস করতে হয়েছে এবং হচ্ছে।
বাংলাদেশে গনতন্ত্রের সংকট শুরু হয়েছে আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতা গ্রহনের মধ্য দিয়ে ।
মুসলিম খান বলেন, দেশজুড়ে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার এবং আইন শৃংখলা বাহীনির ভুমিকা রহস্যজনক । র‌্যাব পুলিশ এবং বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহীনি কর্তৃক বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের গনহারে আটক পরে ক্রসফায়ারে নিহতের ঘটনা বাংলাদেশের মানুষের মনে ভয় এবং উদ্বেগের সৃষ্টি করছে । সরকারের উচিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্দ করা এবং একটি সাধীন কমিশন গঠন করে সব হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্হা কর।
লায়েক আহমেদ বলেন, মানবাধিকার সংঘটন মায়ের ডাকের তথ্য মতে ২০০৯-২০১৯ সাল পর্যন্ত ৫৩৮ জন গুম হয়েছেন। এসব নিঁখোজদের আত্মীয় স্বজন, প্রত্যক্ষদরশী ও মানবাধিকার সংঘটনের তথ্যমতে : গুম হওয়া ব্যক্তিদের সাদা পোশাকে আসা রেব , পুলিশ বা গোয়েন্দা বিভাগের পরিচয়ে এসে তুলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে । এ নিয়ে মামলা হলে ও আইন শৃংখলা বাহীনি তা সব সময় অস্বীকার করে আসছে ।
মোঃ আসয়াদুল হক বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র হত্যা করে, বাকশাল কায়েম করে ছিলেন এবং রক্ষী বাহিনী, মুজিব বাহিনী, লাল বাহিনী, নীল বাহিনী দিয়ে বিরোধী দল কে খুন, গুম, করে ক্ষমতায় ছিলেন সেই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা ও নির্যাতন নিপীড়ন করে রাষ্ট্রযন্ত্র কে ব্যবহার করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়, এই স্বপ্ন কখনো বাস্তায়ন হবেনা।তিনি আরো বলেন মানুষের মৌলিক অধিকার এবং গনতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিতে হবে
সভাপতির বক্তব্যে: সৈয়দ মোজাক্কির আহমদ বলেন-
বাংলাদেশের এই অবৈধ হাসিনা সরকারের আসল টার্গেট হচ্ছে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন, যারা দ্বীন প্রতিষ্টার আন্দোলন করবে, ইসলামী রাজনীতি করবে। সরকারের অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবে, তাদের কে সরকার গুম করছে, খুন করছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে,যেমনি ভাবে তারা হেফাজতের ইসলামের নেতৃবৃন্দ কে জেলের মধ্য আটকে রেখেছে। আজকের এই সেমিনার থেকে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মুফতি কাজী ইব্রাহিম, মুফতি আমির হামজা সহ সকল আলেম ওলামা ও বিরোধী দলের সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করছি।
এছারা আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের পক্ষ থেকে কাজী মোজাম্মেল হোসাইন, সাইদুর রহমান পলাশ, আলী হুসেন, মো:আবু তাহের, শাহীন আহমদ, সাইফুর রহমান রাজু, মো: সৈয়দুল ইসলাম, আহমদ আলী। এছাড়াও ও আরো বক্তব্য রাখেন তরিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম মুকুল, রায়হান উদ্দীন, বোরহান উদ্দীন চৌধুরী, সালমান আহমদ, আশরাফুজ্জামান, আলম আহমদ, মো: ফানটু, ইকবাল হোসেন, ফরহাদ আলী, কামরুল হোসেন , এম এ শামীম।

আরো উপস্তিত ছিলেন, তাহমিদ হোসেন খান, দেলোয়ার হোসেইন, মো: আলম আহমদ, মো: শাহজাহান আহমদ, সেবুল আহমদ, সুহেল আহমদ, জামিল উদ্দীন, তারেক হাছান, ইবাদুর রহমান, এম এ শামীম, মো: ফাহাদুজ্জামান, আশরাফুল হক নাছিম, তানভীর আহমেদ তুষার, সামাদ শিকদার, দাওয়াজ হোসাইন, জুবেল আহমেদ, জামিল আহমেদ, মো: মামুন মিয়া, মো: মোশাররফ হোসাইন, শেরওয়ান আলী, মঈনুল ইসলাম, এমরান আহমদ নাইম, শফিউল আরফিন জুনেদ, ফয়সল হোসাইন চৌং, মোহাম্মদ আলী, মো: রবিউল ইসলাম, মো: আমিনুল ইসলাম সফর, হোমায়ুন আহমেদ, মির্জ আবুল আহমেদ, শেখ আশরাফুজ্জামান, মো: হানিফ রাব্বানী, সালমান আহমদ, ডা: মো: জায়েদ হোসেন, আব্দুল আমীন মাহদী, এযদাদুজ্জামান মান্না, আব্দুল গফফার, মো: লিমন মিয়া, মো: কামরুল হাসান রাকিব, মো: ইমরান আহমদ, রাহাত আহমদ, ডা: মো: শাহজালাল চৌং, তাকি তাজওয়ার, তারেক আহমদ, মো: কামরুল ইসলাম প্রমুখ।