বিএনপির দুর্নীতি আজ বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচারিত

0
508
blank

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির দুর্নীতি আজ বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচারিত। সৌদি আরবসহ বিশ্বের ১২টির মতো দেশে তাদের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। তাদের এই দুর্নীতি এবং অবৈধ সম্পদকে আড়াল করতেই তারা আজ বিক্ষোভ ডেকেছে। কিন্তু জনগণ তাদের এই বিক্ষোভে কোথাও সাড়া দেয়নি। কারণ জনগণ জানে তাদের রাজনীতি হলো ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদের দলে তো অনেক শিক্ষিত লোক আছেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে তাঁরা অশিক্ষিতের মতো কথা বলছেন। আমি আপনাদের অনুরোধ জানাব, অর্থনৈতিক ইনডেক্সগুলো (সূচকগুলো) নিয়ে একটু পড়াশোনা করুন। সাড়ে আট বছর আগের তুলনায় জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে তিন গুণ। আর ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে দ্বিগুণ। ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে জনগণের পার্চেজিং পাওয়ার প্যারেটি ২০০৬ সালে ছিল ২ হাজার ১৮ ডলার আর ২০১৭ সালে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২০৭ ডলারে। ২০০৬ সালে জনগণের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার। আজ ২০১৭ সালে তা ১ হাজার ৭০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এটিই সরকারের সাফল্য।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই প্রতিবছর দ্রব্যমূল্য কমবেশি বাড়ে। তবে দেখতে হবে দ্রব্যমূল্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে কি না। সেই হিসাবে বাংলাদেশের জনগণের ২০০৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ক্রয়ক্ষমতা দ্বিগুণে এসে দাঁড়িয়েছে। এটাই শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সাফল্য।

বিদ্যুতের দামের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কার চেয়ে কম। কদিন আগে বিদ্যুতের দাম যে ৫ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে বিদ্যুতের সর্বনিম্ন বিল তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ নিম্ন আয়ের জনগণের বিদ্যুতের বিল তুলে দেওয়া হয়েছে। আর এ সুবিধা পাবে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ লাখ গ্রাহক।
সংগঠনের সভাপতি আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি এবাদুল ইসলাম, মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, শাহাদাৎ হোসেন।