নিজস্ব প্রতিনিধি: স্কটল্যান্ডে এই প্রথমবার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশী। ৩রা ডিসেম্বর স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডেনবড়ার সিটি চেম্বারে নব নির্বাচিত কমিউনিটি কাউন্সিলার দের সম্বরধনা প্রদান করলেন সিটি অফ এডেনবড়ার কমিউনিটি ও নেভারহুড কমিটির কনভেনর কাউঞ্ছিলর ম্যারিন চাইল্ড। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম বারের মত নির্বাচনে বিজয়ী আ স ম মিরনের সাথে টেলিফনে আলাপ কালে উনি জানান; ‘মুলধারায় স্কটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি এডিনবরা তথা স্কটল্যান্ডের মুলধারার রাজনীতি বা সামাজিক কাঠামো তে বাংলাদেশী কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহন নেই। এমপি কিংবা স্কটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে এ পর্যন্ত কোন স্কটিশ বাংলাদেশী প্রার্থী হিসাবে অংশ নিতে দেখা যায়নি। ৩২টি স্কটিশ কাউন্সিলে রয়েছেন প্রায় ১৩০০ জন কাউন্সিলার, এর মধ্যে ও নেই কোন বাংলাদেশী। ১৭টি ওয়ার্ডে ৫৮ জন কাউন্সিলারদের সবাই শেতাঙ্গ। কিন্তুু এখানকার মোট ৫ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৪০ হাজার (৮%) মানুষ অশ্বেতাঙ্গ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। অন্যদিকে, স্থানীয় সরকারের সর্বনিু কাঠামো হচ্ছে কমিউনিটি কাউন্সিল। এটি স্কটিশ স্থানীয় সরকারের একটি তৃনমুল কাঠামো। এডিনবরা কাউন্সিলে সর্বমোট ৪৬ টি কমিউনিটি কাউন্সিল রয়েছে। প্রতিটি কাউন্সিলে ১৫-২৫ জন সদস্য থাকেন, এদের বলা হয় কমিউনিটি কাউন্সিলার। একটি নির্দিষ্ট কমিউনিটি কাউন্সিল সীমানার মধ্যে বসবাসরত স্থানীয় জনগনের মতামত এবং চিন্তাধারা কে সরকারী বিভিন্ন সংস্থার কাছে তুলে ধরা ই এর মুল কাজ। আইনত: স্থানীয় সরকার কোন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করার পুর্বে স্থানীয় জনগনের মতামতের প্রতিফলন হিসাবে কমিউনিটি কাউন্সিলের মুল্যায়নকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। গত অক্টোবর মাসের ২৭ তারিখ লিথ লিনক কমিউনিটিতে অনুষ্টিত হইয়েছে কমিউনিটি কাউন্সিল নির্বাচন। প্রাথী ছিল ১৭ জন আসন ১২টি। ভোটার তালিকায় নাম আছে, প্রাপ্তবয়স্ক , কমিউনিটির কাজে আগ্রহী যে কেউ এতে প্রার্থীতা চাইতে পারেন এ ক্ষেত্রে ইলেকশন কমিশন কতৃক প্রার্থীতা যাচাই বাছাই এর পর প্রার্থীতা প্রদান করা হয়। মহান আল্লাহতালার অসীম কৃপায় এবং স্থানীয় জনগনের আকুন্ঠ সমর্থনে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছি। আমি সব সময় লিথ লিংক বাসীর পাশে থাকার এবং স্কটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ আমাদেরকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। বাস্তবে দেখা যায়, অধিকাংশ কমিউনিটি কাউন্সিল গঠিত হয় কোনরকম ভোটাভোটি ছাড়াই। কারন, কার্যকরী কমিটির শুন্য পদের চেয়ে আগ্রহী প্রার্থী সংখ্যা কখনই বেশী হয় না। এছাড়া প্রায় এক চতুর্থাংশ পদ পুরন হয় স্থানীয়ভাবে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংঘটন এবং সংস্থা সমুহের মনোনীত প্রতিনিধি কতৃক। এ পকৃয়ায় স্থানীয় ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা প্রতিনিধিত্ব পেয়েছেন আরও চারটি কমিউনিটি কাউঞ্ছিলে। গ্রেন্টন এন্ড ডিস্ট্রিক্ট এ মিজান রহমান, লিবারটন, গিল্মারটন এবং ইঞ্চ পৃথক ভাবে দুটি তে খাইরুন শাহ্, ওয়েস্ট পিলটন ও ওয়েস্ট গ্রেন্টন এ জহুরা আহমেদ এবং ব্রুম হাউজ ও সাইথ হিল এ ফাহমিদা শাহ’। কিশরগঞ্জ সদর এর গাইটাল বাগান বাড়ীর সর্ব কনিস্ট সন্তান আ স ম মিরন বাল্য কাল থেকেই পর উপকারী ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে রেখে গেছেন তার সক্ষ্রর । ১৯৮৮ এর বন্যার সময় ব্রাইট স্টার ক্লাব গাইটাল কিশরগাঞ্জ এর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনোনীত হওার পর বন্যার্ত দের জন্য ত্রান উত্তোলন ও বিতরনের মাধ্যমে সমাজ সেবায় আনুপ্রবেশ। কিশোরগঞ্জ থেকে মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করে্ন। এর ই মাঝে সদস্য পদ পান লিও ক্লাব ইন্টারনেশনালে। লিও ক্লাব অফ ঢাকা গ্রীনবে ডিসট্রিক্ট ৩১৫ বি ১ এর হয়ে, গভর্নেস কল ‘স্টপ ড্রাগ আবিউস সেভ আউয়ার জেনারেশন’ এর উপর মুখাভিনয় করে টেলেন্ট লিও অফ দি ইয়ার উপাধীতে ভূষিত হন ১৯৯২ সনে একই বছর সাংস্কৃতি প্রিয় এই ব্যাক্তিত্ব জড়িত হন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় এর ত্রিবেনি নাট্য সংগঠন এর সাথে। মঞ্ছে অভিনয় করেন আকাধীক নাটকে এবং আবৃত্তি কার হিসাবে অংশ গ্রহন করেন ঢাকা আবৃত্তি সঙ্ঘের সাথে। শখের বশে গান করেন এ ছাড়া উপস্থাপক ও সংঘটক হিসাবে উনার জুড়ি মেলা ভার। ১৯৯৪ সনে মহাসচিব নির্বাচিত হন বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল সার্ভিস (সাস)এর। এর পর ১৯৯৫ সনের শেষের দিকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে দেশ ছেরে পারি জমান ইন্ডিয়ার পুনায় শহরে ১৯৯৬ লিও ক্লব অফ পুনা ডাউন টাউন এর অনারারী ডাইরেক্টর এর দায়িত্ব গ্রহন করেন। ইন্ডিয়ায় কম্পিউটার বিজ্ঞানের উপর পড়ালেখা শেষে বাবার শেষ ইচ্ছা পুরনে পারি জমান ইংলান্ডে এম বি এ ডিগ্রি অর্জনের লক্ষে। ২০০০ এম বি এ পাশ করে জীবনের লক্ষে চলে জান স্কটল্যান্ডে। ২০০৭ সালে দেশের টানে ব্রিটিশ বাংলা জয়েন্ট ভেঞ্ছার কোম্পানি ব্রিটানিয়া প্রপারটিস এর এ জি এম হিসাবে ঢাকা অফিসে জয়েন করেন। ১৪ দলের হয়ে এল ডি পি থেকে কিশরগাঞ্জ সদর আসন ৩ এর এম পি পদে মনোনয়ন পান ২০০৮ সনে। এরই মধ্যে ব্রিটানিয়ায় এ জি এম থেকে জি এম এর মর্যাদায় পদুন্নতি লাভ করেন। ২০০৯ এ নির্বাচনে অনাস্তা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন হলে আ স ম মিরন আবার পারি জমান বিলাতে আর এ সময়ের মধ্যেই জ্ঞান পিপাসু আ স ম মিরন সান্ধ্য কালিন ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন এর উপর প্রিলিমিনারি সম্পন্ন করেন। ২০১৩ সালের শেষের দিকে স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন দল স্কটিস ন্যাশনাল পার্টি (এস এন পি) তে সদস্য পদ গ্রহন করেন এবং ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডে গঠন করেন এস এন পি বাংলাদেশএসসিয়েসন।বর্তমানে উনি এর প্রেসিডেন্ট এর দায়িত্ব পালন করছেন। এস এন পি এদডেনবড়া ওয়েস্টার্ন এর লিয়াজু অফিসার মননিত হন ২০০১৫ সালে এ ছাড়া কাউনসিল মেম্বার হিসাবে বর্তমানে জড়িত রয়েছেন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে পুরনো ও সবচেয়ে বড় চেরিটি সংগঠন রোটারি ক্লাব অফ এডেনবড়ার সাথে। উল্লেক্ষ রোটারি ক্লাব ইন্টারন্যাশেনাল বিশ্বের সর্ব বৃহৎ চেরিটি সংগঠন এর মধ্যে অন্যতম। পলিও মুক্ত বিশ্ব গড়তে রোটারি ক্লাব এর বিকল্প নেই। ছাত্র জীবন থেকই সমাজ সেবা কল্পে রক্ত দান করে আসছেন। ভ্যালরি টেইলর এর ফান্ড রাইজিং এ সাহায্য করে আসছেন ছিআরপি বাংলাদেশের।