রুলের জবাব না দিয়ে রাণীগঞ্জের চেয়ারম্যানকে শপথ করানো নিয়ে ক্ষোভ

0
1009
blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: উচ্চ আদালতের জারী করা রুলের জবাব না দিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানাকে শপথ করানো নিয়ে মামলার বাদী রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজলুল হকসহ তাঁর সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানাগেছে, মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের সাথে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

জানাগেছে, জগন্নাথপুরে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার প্রায় ২ মাস আগে উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজলুল হক বাদী ইউনিয়নের সীমানা সংক্রান্ত অভিযোগ এনে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ মে জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের সাথে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারন করা হয়। এর মধ্যে নির্বাচনের মাত্র ২ দিন আগে ২৬ মে রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজলুল হকের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ৩ মাসের জন্য রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করেন। এ সময় তাড়াতাড়ি করে অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হাইকোর্টে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল (ব্যাগেট) করেন। আপিলের প্রেক্ষিতে মহামান্য বিচারপতিগণ নতুন তারিখে রাণীগঞ্জের নির্বাচন হওয়ার পক্ষে আদেশ দেন। অথচ উচ্চ আদালত নির্বাচনের কোন তারিখ নির্ধারন না করলেও নির্বাচন কমিশন আদালতের আদেশকে অমান্য করে ৩ মাসের জন্য স্থগিত হওয়ার মাত্র ৯ দিনের মাথায় গত ৪ জুন তড়িগড়ি করে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন করে। এ ঘটনায় মামলার বাদী রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজলুল হক নির্বাচন বর্জন করে আবার হাইকোর্র্টে গিয়ে গেজেটে রাণীগঞ্জ চেয়ারম্যানের নাম অর্ন্তভূক্ত না করার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নতুন চেয়ারম্যানের নাম গেজেটে অর্ন্তভূক্ত না করতে আবার হাইকোর্ট রুল জারী করেন। বর্তমানে উচ্চ আদালতের জারী করা রুলের জবাব না দিয়ে আবারো তড়িগড়ি করে গেজেটে নাম অর্ন্তভূক্ত করে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানাকে শপথ করানো হয়েছে বলে মামলার বাদী রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজলুল হক দাবি করেন।

এ ব্যাপারে রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজলুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিভাবে উচ্চ আদালতের জারী করা রুলের জবাব না দিয়ে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে শহিদুল ইসলাম রানাকে শপথ করালেন, তা আমি বুঝতে পারছি না। এছাড়া বারবার তারা উচ্চ আদালতের আদেশ/নির্দেশ অমান্য করে আমার উপর অবিচার করছেন। আমি এখন আমার আইনজীবিদের সাথে পরামর্শ করে আদালতের রায় অবমাননার মামলা করবো। তিনি আরো বলেন, ন্যায় বিচার পেতে তাদের সাথে আমি  আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো। শপথের বিষয়ে জানতে চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।