ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের সন্তানরা যেন তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদে লিপ্ত হতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের সহযোগিতায় ‘সন্ত্রাসবাদ : আইন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ আইন সমিতি।
স্পিকার বলেন, দেশে যেন টেরোরিস্ট ক্যাম্প গড়ে উঠতে না পারে এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের সুযোগ যেন কেউ না পায়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অন্যান্য এজেন্সির সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যার দ্বারা উন্নত, অনুন্নত সব দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে নিরীহ মানুষকে বাঁচাতে ও কাউন্টার টেরোরিজম নিশ্চিত করতে ধর্ম-বর্ণ ও জাতিগত বৈষম্য দূর করে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে সুসংহত করতে হবে।
এমন যুগোপযোগী সেমিনার আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জনিয়ে স্পিকার বলেন, এমন সৃজনশীল আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এ ধরনের সেমিনার সকলের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম আফজাল-উল-মুনীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান আল-মামুনের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আরো বক্তব্য রাখেন বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের প্রাক্তন ডিন রহমত আলী।
কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম শাখার প্রধান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।