নাঈম তালুকদার, সুনামগঞ্জ: বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন নদ নদী ও হাওরের পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও কিন্তু আবার শনিবার সাড়া রাত বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আবারো পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আবারো অবনতি হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি সকালে বিপদ সীমার ৬৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১১৫ মিঃ মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন। পানিবন্দি ওই সব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুক খাবারের অভাব।
এদিকে সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর এলাকায় সুরমা নদীর তীরে সড়কটি ভেঙে পড়ায় ধারার গাঁও এর সাথে ৪টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ সরাসরি সড়ক যোগাযোগ থেকে বিছিন্ন রয়েছে। একই ভাবে সুনামগঞ্জ তাহিরপুর ও দোয়ারাবাজার -ছাতক সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পানি উঠে পড়ায় গত সাত দিন ধরে সব ধরণের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে হাওরের বেশীর ভাগ এলাকা পানিতে ডুবে থাকায় জেলার প্রায় ৫শ হেক্টর আমন নষ্ট হয়ে গেছে এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অনেক পুকুর ডুবে যাওয়ায় পুকুরের মাছ চলে গেছে। সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধানের বীজতলা। জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, প্রত্যেক উপজেলায় ৫মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর মন্ত্রণালয়ে আরো বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমরা সব সময় তৎপর রয়েছি, যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত আছি।