যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে এবার রেলসেতু হবে: রেলমন্ত্রী

0
489
blank
blank

ঢাকা: উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রেলযোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করতে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে এবার প্যারালাল রেলসেতু নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। রবিবার দুপুরে রাজশাহী-খুলনা রুটের ‘কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের নতুন কোচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন তিনি।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে এবং পশ্চিমাঞ্চলে আরও বেশি করে ট্রেন প্রয়োজন আছে। কিন্তু যমুনার ওপরে যে সেতু আছে, তাতে বেশি ট্রেন চালানোর ক্যাপাসিটি নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী কী নির্দেশ দিয়েছেন জানেন? তিনি বলেছেন- যমুনার ওপর যে রেল ব্রীজ আছে, তার সঙ্গে আরেকটি প্যারালাল ব্রীজ করা হবে।
তিনি বলেন, এই ব্রীজের নাম বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু। জাপানি অর্থায়নে এই ব্রীজটি করা হবে। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। এখানে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। নির্মাণ কাজের অতি তাড়াতাড়ি আমরা টেন্ডার কল করবো। টেন্ডার কল করে যারা নির্মাণ কাজের ঠিকাদার তারা অতি তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করবেন। যমুনার ওপর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে ব্রীজ আরেকটি হবে। আরও বেশি করে ট্রেন আসবে, উত্তরাঞ্চল-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা রেলের মাধ্যমে আরও বেশি করে সেবা পাবেন।
মুজিবুল হক বলেন, শুধু এখানেই নয়, চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে। বিএনপির আমলে বহু রেলস্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ মাসে আমরা এক সঙ্গে ৬০টি স্টেশন চালু করেছি। বাংলাদেশে যেখানে যেখানে রেলস্টেশন বন্ধ আছে, আগামী ৬ মাসে সমস্ত স্টেশন চালু করে দিব। একটিও বাদ থাকবে না।
এছাড়া ৬৫০টি লেভেল ক্রসিংয়ের মান উন্নয়ন করা হবে ঘোষণা দিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, লেভেল ক্রসিংয়ের মান উন্নয়নে দুটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এক হাজার ৮০০ গেট কিপার নিয়োগ দেওয়ার পর লেভেল ক্রসিং গেটের আর কোনো রকম সমস্যা থাকবে না। এসব কাজ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। তাছাড়া ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণেরও ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সদর দফতর শাখার সভাপতি মোতাহার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভাপতিত্ব করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল আলম।