রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন তিনি।
শপথ গ্রহণ নিয়ে গণফোরামের সুলতান মো. মনসুর ও মোকাব্বির খানের ঘোষণাকে ব্যক্তিগত দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন কোনো নির্বাচন হয়নি। তারা তথাকথিত এই ভোট ডাকাতির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত হচ্ছে- এই নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা কেউ সংসদে যাবেন না। এটাই সিদ্ধান্ত। এখন ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের দু’জন সংসদে শপথ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন- এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য নেই। গণফোরামের দুই সদস্য সংসদে অংশ নিলে এতে বিএনপির সঙ্গে দলটির কোনো টানাপোড়েন সৃষ্টি হবে কি-না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো আগে বলা যাবে না। তবে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে, তা অটুট থাকবে বলে তার বিশ্বাস।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ৯০০ কোটি টাকা বাজেট করেছে। এর আগে উপজেলা নির্বাচনে ৪০০ কোটি টাকা বাজেট ছিল। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না। অতএব, নৌকা প্রতীকে যারা মনোনয়ন পাবেন, তারাই নির্বাচিত। এখানে ভোটের প্রয়োজন হয় না। তাহলে ৯০০ কোটি টাকা খরচ করে নতুন প্রহসনের প্রয়োজন নেই। জনগণের এই টাকা এভাবে অপচয় করা সমীচীন হবে না।
এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ছাড়াও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু ও সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, তকদীর হোসেন মো. জসিম, তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, নাজিমউদ্দিন, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমী, মাইনুল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, তাঁতি দলের আবুল কালাম আজাদসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।