একজন বিশেষজ্ঞ সার্জনের অনন্য সামাজিক দায়িত্ববোধ

0
1113
blank
blank

ডা: মো: আবুল কালাম চৌধুরী, পেশায় সে একজন স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ সার্জন।দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার প্রত্যন্ত মনুয়া গ্রামের সম্ভান্ত পরিবারে তার জন্ম।বাবা মরহুম কালাই মিয়া চৌধুরী ছিলেন একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক। তৎকানীন বৃটিশ আমলে লেখাপড়া শেষ করেই সরপঞ্চ ( পঞ্চায়েত) এর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে সুনামগঞ্জের লোকাল বোর্ডের নির্বাচিত মেম্বার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পাকিস্থান আমলে বারবার ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে শাল্লা উপজেলা ১ম উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। সামাজিক দায়িত্ব পালনে তিনি প্রতিটি সকারের আমলে বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। তারই সন্তান ডা: মো: আবুল কালাম চৌধুরী নিজ গ্রামের মনুয়া প্রথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন এবং বৃত্তিসহ প্রথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন।
মেধাবী ছাত্র হিসাবে হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে ১ম শ্রেণিতে এস এস সি ও ১৯৮৩ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে ১ম শ্রেণিতে এইচ এস সি পাশ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সহিত এম বি বি এস পাশ করেন।
১৯৯৩ সালে ১১ তম বিসিএস এ প্রথমবারের মত অংশ নিয়ে মেডিকেল অফিসার হিসাবে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেন। তার প্রথম কর্মস্থল আজমিরিগঞ্জ উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা সহ নিজ উদ্যোগে কম্পলেক্সের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে এলাকাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কম্পলেক্সে তার নিজ হাতে ১৯৯৪/৯৫ সালে লাগানো প্রায় ২৫০০ বিভিন্ন গাছ এখন ঐ আজমিরিগঞ্জ উপজেলায় একটা দর্শনীয় বনায়ন হিসাবে মানুষের মুখে তার নাম উচ্চারিত হয়। তার চেষ্টায় তখন হেলথ কম্পলেক্সে ১ম খাদ্য সরবরাহ পদ্ধতি চালু হয়।
সেখান থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৬ সালে তৎকালীন আই পি জি এম এন্ড আর ( পিজি) হাসপাতালে সহকারী রেজিষ্ট্রার পদে বদলী হন। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে ৩০ এপ্রিল পিজি হাস্পাতাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্ত্রিত হলে তিনি সেখানে আত্মীককৃত হন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় চাকুরীকালীন সময়ে ২০০৮ সালে মাস্টার ইন সার্জারী ( MS) ডিগ্রী অর্জন করেন।
লেখাপড়া ও চাকুরীকালীন সময়ে গ্রামের ও এলাকার উন্নয়নে তিনি সচেস্ট ছিলেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন জাতীয় নেতা ও দিরাই-শাল্লার সাংসদ প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অত্যন্ত আস্তাভাজন ছিলেন ডা: মো: আবুল কালাম চৌধুরী। তার সাহায্য সহযোগিতায় ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজ এলাকায় যতেষ্ট উন্নয়ন সাধন করেন।
স্থানীয় লোকজন ও তার সামাজিক মাধ্যম থেকে জানা যায় ইতিমধ্যে সে সম্পুর্ণ ব্যাক্তিগত উদ্যোগে তার বাবার নামে কালাই মিয়া চৌধুরী উচ্চ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা, মনুয়া বাজার প্রতিষ্ঠা এবং সর্বশেষ প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করে এলাকাবাসীর জন্য কবরস্থান প্রতিষ্ঠা করছেন।
তিনি সরকারের মাধ্যমে মনুয়া গ্রামে শাল্লা ইউনিয়ন কম্পলেক্স স্থাপন, পল্লীবিদ্যুতায়ন ও পাকারাস্তা নির্মানে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন।
তিনি ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। তাছাড়া সম্প্রতি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ এর নব ঘোষিত কমিটিতে স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে মনোনীত হয়েছেন।
চিকিৎসা বিদ্যার গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কর্মরত থেকেও এলাকা ও দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যাপক ভুমিকার কারনে সৎ ও নিষ্টাবান একজন ডা: মো: আবুল কালাম চৌধুরী কে নিয়ে দিরাই-শাল্লার মানুষ নুতন করে স্বপ্ন দেখছে।