কেউ বেআইনি কিছু করলে ব্যবস্থা, হেলেনা প্রশ্নে মোজাম্মেল হক

0
528
blank
blank

ঢাকা : ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ এখন হেলেনা জাহাঙ্গীর। আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটিতে হঠাৎ পদ পাওয়া এই নারীর ‘চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের প্রচারণায় তুমুল বিতর্ক উঠলে তাকে দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর র‌্যাব বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে।

২০১৫ সালে রাজনীতিতে জড়ান হেলেনা জাহাঙ্গীর। এরপর জয়যাত্রা নামে একটি আইপি টেলিভিশন চালু করেন তিনি। তারপর থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। নিজের মালিকানাধীন আইপি টেলিভিশন জয়যাত্রায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘লাগামহীন বক্তব্য’ ও হুট করে ক্ষমতাসীন দলে একাধিক পদ দখল করা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয় ‘চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের প্রচারণা চালানোয়।

তীব্র সমালোচনার মুখে তাকে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। হঠাৎ করেই তার এসব পদে আসা নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন।

এর মধ্যে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের পদটি তিনি স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পেয়েছেন বলে আলোচনায় এসেছে। এর বাইরে কেন্দ্রীয় মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সুপারিশে পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলের নেতারা।

হেলেনাকে দলে পদ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এইটা (সুপারিশে পদ পেয়েছেন) কেউ বললে আমি কী করতে পারি? আমি তাকে চিনি, ভালো জানি, তার সঙ্গে আমার খাতির আছে। সে সিআইপি, ৫-৬টা মিলের মালিক। তবে সে বেআইনি কিছু করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।