তরুণদের জন্য সোনিয়া বশির কবীরের ৫ পরামর্শ

0
809
blank
blank

ঢাকা: সোনিয়া বশির কবীর বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, লাওস ও মিয়ানমারের মাইক্রোসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ইউনাইটেড নেশন টেক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান, ‘বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজির সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট, সহপ্রতিষ্ঠাতা সিনটেক বাংলাদেশের। তিনি ‘ডি মানি বাংলাদেশ’–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। তরুণদের জন্য সোনিয়া বশির কবীর বিভিন্নভাবে কাজ করছেন। প্রথম আলোর সঙ্গে ‘মিট দ্য এক্সপার্ট’ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। এর আওতায় ১০ জন তরুণের সঙ্গে সকালের নাশতা ও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। সম্প্রতি এ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

সোনিয়া বলেন, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ তরুণদের সঙ্গে অনেক কাজ করছে। তরুণদের কীভাবে এগিয়ে নিতে পারি, তার পরিকল্পনা করছি। শুরু করেছিলাম ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম। ইয়াংবাংলার সঙ্গে শুরু করেছিলাম। তাদের মাইক্রোসফট অফিসে আমন্ত্রণ করেছিলাম। এখনো মাইক্রোসফটে তরুণদের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগ রয়েছে। আবেদন করলে আমরা তাঁদের উদ্যোগে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা বিচারে প্রতিষ্ঠানের মতো গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারি। তরুণদের বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে সাহায্য করতে পারি।

তরুণদের জন্য ৫ পরামর্শ
প্রথমটি হলো কৌতূহল থাকতে হবে। যা ঘটছে, আপনি জানতে চাইবেন, কেন হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে। ধারণা তৈরি হলে আগ্রহ জন্মাবে, উদ্যোগের মনোভাব জন্ম নেবে। সমস্যাগুলো নতুন সমাধান করার চেষ্টা করবেন।

দ্বিতীয় পরামর্শ হলো সাহস রাখবেন। কারণ, অনেক ঝুঁকি নিতে হবে। আমরা যে এখন নতুন প্রযুক্তির দিকে যাচ্ছি, সেখানে পৃথিবী বদলে যাচ্ছে। প্রযুক্তি অনেক কিছু নতুনভাবে দেখছে। তাই যাদের সাহস আছে, তারাই এগিয়ে যাবে।

ইতিবাচক আচরণের মধ্যে আরেকটি বিষয় হলো নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখবেন। যা আপনি করছেন, তা সফল হবে—এ বিশ্বাস রাখবেন। কাজের দারুণ ফল আসবেই—এ বিশ্বাস রাখবেন।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে কমপ্যাশন। মানুষের দিকে একটু চিন্তা করা। যাদের আছে তারা, যাদের নেই, তাদের নিয়ে চিন্তা করতে হবে। তাদের কী সমস্যা, কী চাহিদা আছে, তা প্রযুক্তি দিয়ে কীভাবে সমস্যা সমাধান করা যায়, জীবন উন্নত করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। অন্যদের কষ্ট অনুধাবন করতে পারাটা একটা বড় গুণ।

আরেকটি পরামর্শ হচ্ছে নিজেকে সুখী ভাবা। নিজের কাজের প্রতি আবেগ বা ভালোবাসা থাকা। মন চা চাইবে, সেটাই করবেন। অন্যের পছন্দ করে দেওয়া কিছু বা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কিছু করবেন না। মনের সঙ্গে মিলিয়ে মস্তিষ্কের প্রয়োগ ঘটান। এভাবে সামনে এগিয়ে গেলে সফল হবেন।