শফিক সাফি: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামীকে জোটে রাখা না রাখা নিয়ে মতভেদ রয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে। কমিটির একটি অংশের মত হচ্ছে, এই মুহূর্তে জামায়াতকে ছেড়ে দিলে বিএনপির লাভ-ক্ষতি কী তা আগে খতিয়ে দেখা।
অন্য অংশের মতে, আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগের প্রস্তাব না দিয়ে ২০ দলীয় জোট ভেঙে দিলেই হয়ে যাবে। কেননা স্বাধীনতাবিরোধী দলটির সঙ্গে জোট হয়েছিল নির্বাচন ও ভোটের হিসাবে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত বুধবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই ভিন্নমত দেখা দিলেও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার বিষয়ে আরো কিছু দিন কৌশলী অবস্থানে থাকবে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি বরাবরই জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে। কেননা জামায়াত বিএনপির জন্য বড় দায় হয়ে পড়েছে। জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক নানা কথা হচ্ছে। এই ইস্যুতে ফায়দা নিচ্ছে ক্ষমতাসীন জোট সংসদের বাইরে থাকা কিছু দলও। দেশি-বিদেশি নানা মহলের চাপও আছে বিএনপির ওপর। আর বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবীরাও পরামর্শ দিচ্ছেন জামায়াতকে ছেড়ে দিতে। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি স্থায়ী কমিটির বৈঠকের এজেন্ডায় না থাকার পরও আলোচনায় আসে।