দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত: মায়া

0
485
blank

ঢাকা: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু মোকাবেলায় ‘সব’ প্রস্তুতি সরকারের আছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি জানাতে শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপকূলীয় ১৪টি জেলার পাঁচ লাখ মানুষকে সাড়ে তিন হাজার আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আরো ২-৩ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হবে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রের কাছাকাছি রয়েছেন, তারা স্বাভাবিকভাবেই দেরিতে কেন্দ্রে যান। ত্রাণ তৎপরতার প্রস্তুতি হিসেবে এসব জেলায় চার লাখ করে টাকা এবং দুই হাজার টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে এসে আমাদের প্রস্তুতির বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি আমাদের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট। আমরা এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নিয়েছি।

মায়া জানান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির (সিপিপি) ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রোভার স্কাউট ও আনসার ভিডিপির কর্মী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী মিলিয়ে এক লাখ স্বেচ্ছাসেবীকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোনো দল বা সরকারের নয়। আমি সকল দল-মতের মানুষ, বুদ্ধিজীবী, সংবাদকর্মী, পেশাজীবী ও ধনী ব্যক্তিদের এ দুর্যোগ মোকাবেলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

গত দুই দিন ধরে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কাজ করছেন বলেও জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল সংবাদ সম্মেলনে জানান, উপকূলীয় জেলার প্রশাসকরা গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টন চাল এবং ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার চাহিদা দিয়েছেন।

শনিবার সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৪০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আরো পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে দুপুরের পর চট্টগ্রামের কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে আগের মতোই ৭ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।