স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লাগার সঙ্গে রিজার্ভ চুরির সংযোগ রয়েছে। এ দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩২ তলা ভবনের মধ্যে যে দুই তালায় বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে কাজ করা হয় অর্থ্যাৎ ১৩ এবং ১৪ তালায় কেনো আগুন লাগলো?
ড. মঈন খান বলেন, ফিলিপাইনের দাবি, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির নায়ক ব্যাংকের ভিতরের ব্যাক্তিরা। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে তাহলে কি আগুন লাগার পিছনে কোনো সংযোগ আছে? তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা ব্যাংক ছুটির সময় হয়েছে। এবারও ব্যাংকে ৩ দিনে ছুটির মধ্যে আগুন লেগেছে। সুতরাং রিজার্ভ চুরির সঙ্গে কি আগুন লাগার কোনো সংযোগ আছে। এমন প্রশ্ন উঠতে পারে। বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লাগার সময় আমি একটি টেলিভিশনে লাইফ দেখতেছিলাম। একজন রিপোর্টার আগুন লাগার সংবাদ দেখাচ্ছিলেন, ওই সময় আমি লক্ষ্য করলাম, রিপোর্টার যখন ভিতের রহস্য বের করতে যাচ্ছে ঠিক তখনই তার মাইক বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। আর এ ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এর আগেও কি বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট হয়েছে, যেটা প্রকাশ পায়নি। এ প্রশ্নের উত্তর আপনাদেরকেই দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বাংলাদেশ সরকার সামরিক চুক্তি চাচ্ছে, না কি অন্য কেউ চাচ্ছে। এটা জানি না। কারণ সরকার সেটা প্রকাশ করেনি। সামরিক চুক্তির মাধ্যমে একটি দেশ আরেকটি দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বর ওপর হস্তক্ষেপ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।