ব্যাংক খাতে নীতিবান নেতৃত্বের সঙ্কট

0
693
blank
blank

জি. মুনীর: বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের নানা সঙ্কটের মধ্যে অন্যতম সঙ্কট হয়ে দাঁড়িয়েছে নীতিবান নেতৃত্বের ঘাটতির বিষয়টি। ফলে ব্যাংকগুলোতে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ, লঙ্ঘিত হচ্ছে আচরণবিধি, বাড়ছে জাল-জালিয়াতি ও কমছে ব্যাংকগুলোর মুনাফার হারÑ এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে সাম্প্রতিক এক জরিপে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এই জরিপ পরিচালনা করে।
জরিপ মতে, ৬০ শতাংশেরও বেশি ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী মনে করেন, ব্যাংক খাতে নীতিবান নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। আর তাদের ৬৪ শতাংশ মনে করেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে অপরাধকর্ম আশঙ্কাজনক বেড়ে চলেছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাঝে। এই জরিপ প্রতিবেদনে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, এই অপরাধকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং এ ব্যাপারে আশুপদক্ষেপ নেয়া দরকার। ‘হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অব ব্যাংকস ২০১৭’ শীর্ষক এই জরিপ গত ২৪ মে রাজধানীতে আয়োজিত একটি কর্মশিবিরে উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

জরিপে আরো দেখা গেছে, ২৯ শতাংশ ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ২০১৭ সালে তাদের চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। ফলে গত বছর পাঁচ হাজার ৭০০ জন ব্যাংকের চাকরি থেকে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই প্রবণতা বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে শুরু হয়েছে এবং এই প্রবণতা কোনো ভালো অনুশীলন নয়। কারণ, এর ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানোন্নয়নের পথে বড় ধরনের বাধা হিসেবে কাজ করে। তা ছাড়া, এই জরিপ মতে, প্রধানত অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে ওই বছরে ৯ হাজার ২০২ জন স্টাফ ব্যাংক খাতে তাদের চাকরি হারিয়েছেন। ওই বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে জনবল কমেছে ৮১ হাজার ২৪৫ জন। এর আগের বছর কমেছিল ৯০ হাজার ২৬৫ জন।
জরিপের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকগুলো তাদের মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় খরচটুকু করছে না। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো এর অপারেটিং খরচ ১০০ টাকার মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়নের পেছনে খরচ করছে মাত্র ০.২৫ টাকা। বিশ্বজুড়ে মানবসম্পদ উন্নয়নের পেছনে ব্যাংকগুলো এর অপারেটিং খরচের গড়ে ২-৩ শতাংশ খরচ করে থাকে। তাজুল ইসলাম বলেন, এ ক্ষেত্রে আমাদের পরিস্থিতি খুবই হতাশাজনক। তাজুল ইসলাম আরো উল্লেখ করেন, আরো দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের দেশের এক-তৃতীয়াংশ ব্যাংক মানবসম্পদ উন্নয়নে কোনো পয়সাই খরচ করতে পারেনি।

আসলে মানবসম্পদ উন্নয়নের ব্যাপারে দৈন্য ও ব্যাংক নেতৃত্বের দলীয়করণ আজকের দিনে আমাদের দেশের ব্যাংক খাতের জন্য বড় এক সমস্যা হয়ে উঠেছে। বরং বলা ভালো, পুরো ব্যাংক খাতই আজ ডুবতে বসেছে। এর বহু উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে ঘুরেফিরে আসছে। সম্প্রতি ব্যাংক নেতৃত্বের মধ্যে নৈতিকতার অভাবের একটি উদাহরণ আমরা গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি। একটি জাতীয় দৈনিক আমাদের জানিয়েছে, বিভিন্ন ব্যাংকের কিছু অসাধু পরিচালক নিজেদের মধ্যে ঋণ ভাগাভাগি করে নিজেদের ব্যাংকের বড় অঙ্কের ঋণ নিজেরাই নিয়ে নিচ্ছেন। ব্যাংকের পরিচালকরা যাতে জোরজবরদস্তি করে নিজের ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে না পারেন, সে জন্য নিজ ব্যাংক থেকে পরিচালকদের ঋণ নেয়ার একটা সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিচালকরা তা থেকে নিবৃত্ত হননি।
কোনো ব্যাংকের পরিচালক তা মেনে চলছেন কি না, কিংবা কোনো কৌশলে এড়িয়ে চলেছেন কি না, সেই নজরদারি বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই বললেই চলে। জানা গেছে, এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংকের পরিচালককে ধরে সেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন। আবার নিজের ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের পরিচালককেও ঋণ পাইয়ে দিচ্ছেন। এভাবে নীতিহীন পরিচালকরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে কোটি কোটি টাকার ঋণ নিলেও, এর বিপরীতে তেমন কোনো জামানত রাখতে হচ্ছে না।

তুলনামূলক কম সুদহারে ঋণ নিয়েও পরে ওই টাকা পরিশোধ না করায় ওই ঋণ আদায় করতে গিয়ে মুশকিলে পড়ছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জামানতবিহীন এসব ঋণ আদায় করাও সম্ভব হচ্ছে না। এটি আসলে ব্যাংক খাতে নীতিবান নেতৃত্বের সঙ্কটের একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ।
আরো জানা গেছে, বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকদের বেশির ভাগই ব্যবসায়ী। তাদের ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের শিল্পকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যাংকের পরিচালক হওয়ায় অনায়াসে এসব প্রতিষ্ঠানের নামে বড় অঙ্কের ঋণ নিতে পারছেন তারা। তা ছাড়া, সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রেও তারা অন্যান্য ঋণগ্রহীতার চেয়ে কম সুদে ঋণ পাচ্ছেন। এই সুবিধা পাওয়ার পরও অনেক পরিচালক ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করছেন না।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো ঋণখেলাপি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে পারেন না বা থাকতে পারেন না। কিন্তু অসাধু এসব পরিচালক ঋণখেলাপি হওয়ার পরও পদ ধরে রাখতে আদালতে যাচ্ছেন। নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য ওই ব্যক্তিকে ঋণখেলাপি দেখানো হবে না- আদালতের এমন স্থগিতাদেশ নিয়ে পরিচালক পদে বহাল থাকছেন অনেকে। নীতিবান নেতৃত্বহীনতার কারণেই এমনটি ঘটছে। গতকালের একটি জাতীয় পত্রিকার খবরে জানা গেলÑ ঋণখেলাপি হয়েও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক আছেন এম শাহাবুদ্দিন আলম। তিনি এস এ গ্রুপের চেয়ারম্যান। একই সাথে এ গ্রুপের মালিকানাধীন এস এ অয়েল রিফাইনারি এবং সামান্নাজ সুপার অয়েল লিমিটেডের এমডি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এ দু’টি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রাইম ব্যাংকের সুদ-আসলে বকেয়া পাওনা ৭৪ কোটি টাকা, যা বর্তমানে খেলাপি ঋণ হয়ে আছে।

সম্প্রতি এই খেলাপি ঋণ আদায়ে সহায়তা চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নোটিশের মাধ্যমে নালিশ জানিয়েছে ভুক্তভোগী প্রাইম ব্যাংক। শুধু প্রাইম ব্যাংক থেকে নয়, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এই পরিচালক দেশের ২৩টি ব্যাংক থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা নিয়েছেন। কিন্তু বিপুল অঙ্কের এ অর্থ ফেরত দিচ্ছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা একটি জাতীয় দৈনিককে জানান, এস এ গ্রুপের চেয়ারম্যান এম শাহাবুদ্দিন আলম নোটিশের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়েছেন। স্থগিতাদেশ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আবার মামলা করা হয়। কোর্টের আশ্রয়ে থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। আসলে এগুলো হলো তৈরি করা আইনি ফাঁদ। এভাবে প্রভাবশালীরা নিজেদের আত্মরক্ষা করেন। এসব ফাঁক-ফোকর বন্ধ না হলে ঋণখেলাপি এ ধরনের চরিত্রের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলবে।
এ ধরনের ঋণের পাওনাদার ব্যাংকগুলোকে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেতে হচ্ছে। কেননা, এসব অসাধু ব্যাংক পরিচালকের বেশির ভাগই প্রভাবশালী। এরা ব্যাংকগুলোর নাগালের বাইরে। এমন এক বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ১৭-১৮টি ব্যাংক থেকে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা ঋণ নেন। বাংলাদেশ ব্যাংক তা পুনর্গঠন করে দিয়েছিল ২০১৫ সালে। অথচ এই ঋণ পুনর্গঠন না করে খেলাপি হিসেবে দেখানো হলে বর্তমানে তার পরিচালক পদই থাকত না। আর নতুন করে ঋণও পেতেন না তিনি। এর দায় বাংলাদেশ এড়াতে পারে না।

নীতিনৈতিকতাহীন নেতৃত্বের কারণে আজ নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ পেয়ে যাচ্ছে। যখন ব্যাংকগুলো তাদের পাওনা আদায় করতে পারছে না, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলার আইনগত ব্যবস্থা নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে নানা জাল-জালিয়াতির ঘটনা। ঋণের বিপরীতে যেসব সম্পদ বন্ধক রাখা হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ কাগজপত্রই ভুয়া বা খাসজমি। ফলে এসব ঋণের সুবিধাভোগীরা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ব্যাংকারদের মতে, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ ও বেসিক ব্যাংকসহ বিভিন্ন ঋণ কেলেঙ্কারির অর্থ আদায় হচ্ছে না। মূলধন ঘাটতির মধ্যে পড়েছে অনেক ব্যাংক। সরকারি ব্যাংকগুলোতে এসব অনিয়মের দায় জনগণের করের টাকা দিয়ে মেটানো হচ্ছে। তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো পড়ে যাচ্ছে বিপদে। যদিও সম্প্রতি ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারির দায় মেটাতে সরকারি পাঁচটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার তহবিল জোগান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এভাবে বেনামি ঋণ বেড়ে যাওয়ার ফলে ব্যাংকখাতে এখন ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশের প্রথম প্রজন্মের একটি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, কোনো কোনো ব্যাংকের এমডিরা অসহায়। তারা ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। পরিচালকরা যেভাবে করতে বলেন, তাই করতে হয়। অন্যথায় এমডির পদ হারানোর ভয় আছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি ব্যাংকের এমডি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। অপর এক ব্যাংকের এমডি জানিয়েছেন, বেশির ভাগ পরিচালক ভাগাভাগি করে ঋণ বিতরণ করেন। এ বিষয়ে এ লেখায় বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। এর পরিণাম ভয়াবহ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, সাড়ে সাত লাখ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকাই চলে গেছে ব্যাংক পরিচালকদের দখলে। ১৯টি ব্যাংকের পরিচালকরা নিয়েছেন নিজ ব্যাংক থেকে ঋণ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা এই ঋণ পরিশোধ করছেন না। এভাবে ব্যাংকের পুঞ্জীভূত খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে।
নয়া দিগন্তের এক খবর মতে, খেলাপি ঋণের পাশাপাশি ব্যাংকের খাতায় যেসব ঋণ নিয়মিত দেখানো হচ্ছে, এসব ঋণও এখন আর আদায় হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাতটি ব্যাংকের নিয়মিত ঋণ আদায়ে খরা চলছে। ব্যাংকগুলো গত ছয় মাসে একটি টাকাও আদায় করতে পারেনি। এর মধ্যে পাঁচটিই নতুন প্রজন্মের ব্যাংক। খেলাপি ঋণের পাশাপাশি নিয়মিত ঋণ আদায় কমে যাওয়াকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার অপসংস্কৃতি চালু হওয়ায় যারা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছেন, তারাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

ব্যাংকগুলোতে নেতৃত্বের এই নীতিহীনতা যেন সরকারই সযতনে পুষছে। বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির সময়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা বলা যায় এখন পর্যন্ত জবাবদিহিতার বাইরেই রয়ে গেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন যাদের গ্রেফতার করেছিল তারা জামিনে আছেন। আদালত থেকে জামিন পেয়ে কেউ দেশে আছেন, আবার কেউ পালিয়ে চলে গেছেন দেশের বাইরে। গণমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, শেখ আবদুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকার পাঁচ বছরে (২০০৯-১৪) নজিরবিহীন অনিয়ম আর দুর্নীতি করে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ২০০৯ সালে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ৫ শতাংশ। আর ২০১৪ সাল শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮ শতাংশে। এই পাঁচ বছরে ব্যাংকটির এই অবস্থার জন্য দায়ী মূলত পরিচালনা পর্ষদ। পরিচালকদের জবাবদিহির আওতায় আজো আনা হয়নি, বরং অনেক পরিচালক হয়েছেন পুরস্কৃত- এমন খবরও গণমাধ্যম সূত্রে আমরা জেনেছি।
যা হোক, বিআইবিএমের জরিপ সূত্রে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে নীতিবান নেতৃত্ব সঙ্কটের যে সত্যটি তুলে ধরা হয়েছে তা যথার্থ। সরকার তা যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে এ সঙ্কট মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করি। কারণ, এ নিয়ে অনেক হয়েছে। এবার এর অবসান হওয়া প্রয়োজন। নইলে ব্যাংক খাত অচিরেই ভেঙে পড়বে। তা ছাড়া, সরকার জনগণের কষ্টার্জিত করের টাকায় ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি মেটাবে আর কত দিন?