মাস্টারপিস বাংলাদেশ এর ফটো কনটেস্ট এর উদ্ভোধন ও পুরষ্কার বিতরণী

0
610
blank
blank

একটা ছবি আবার হাজার শব্দের কথা বলে
———–শাকুর মজিদ

বরেণ্য নাট্যকার ও আলোকচিত্রী শাকুর মজিদ বলেছেন, ফটোগ্রাফি আমার সবচেয়ে পুরনো নেশা। ছবি একটি স্থীর ইমেজ। যখনই এটাকে কথা বলাতে পারবো তখনই সেটা স্বার্থক হবে। ছবি একটা সময়কে ধরে রাখে। প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ছবি তোলা হয়। একটা ছবি আবার এক হাজার শব্দের কথা বলে। ফটোগ্রাফাররা মানুষের অভিব্যক্তিকে শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরে। এই ধরনের ফটোগ্রাফির আয়োজনকে আরও বেশি অব্যাহত রাখতে হবে।

মাস্টারপিস বাংলাদেশ এর ফটো কনটেস্ট এর প্রদর্শনী উদ্ভোধন ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

গতকাল শনিবার সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উক্ত ফটো কনটেস্ট এর উদ্ভোধন ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের বিয়ানীবাজার ৫০ বছর পরে এমন থাকবেনা। তার জন্য ছবি তোলা দরকার। মাস্টারপিস এর আলোচিত্র প্রদর্শনীতে মফস্বলের নয় বরং জাতীয় ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মানের ছবি প্রদর্শন করেছে। দেশের ফটোগ্রাফারদের ৫ হাজার জমা ছবি থেকে মোট ৫০ টি ছবি প্রদর্শন করেছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ানীবাজারে সারা বাংলাদেশের ফটোগ্রাফারকে একত্র করা হয়েছে।

মাস্টারপিস বাংলাদেশ-এর সভাপতি ফয়জুল আলম শিমাল এর সভাপতিত্বে ও সদস্য পার্টনার কানেক্টর রাজু ওয়াহিদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, বিশিষ্ট আলোকচিত্রী মোঃ ফখরুল ইসলাম, পঞ্চখন্ড গোলাবিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর সেক্রেটারি আবু আহমেদ শাহেদ, বিয়ানীবাজার ২৪ সম্পাদক আহমেদ ফয়সল, মাস্টার পিস এর এসোসিয়েট লিডার অলক শর্মা, সদস্য তপন চৌধুরী, ফটোগ্রাফার সৈয়দ মঞ্জুর হুসেন বাবু, সাংবাদিক সাবুল আহমদ, সমাজসেবী লুতফুর রহমান প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য এসোসিয়েট লিডার অলক শর্মা বলেন, মাস্টারপিস বাংলাদেশ একটি ব্যতিক্রমী সংগঠন। উদ্যমী তরুনরা তাদের মেধা ও শিল্পকে কাজে লাগিয়ে কাজ করে। শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মেইন সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডে অবস্থিত। বিশ্বের ৫৫টি দেশে এর কার্যক্রম রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ছবিগুলো অসাধারণ। প্রতিযোগিদের চিন্তা চেতনা ও দক্ষতার কারনে আমাদের সামনে তাদের ছবিগুলো জীবন্ত হয়েছে। আমরা জানি ছবি কথা বলে। শক্তিশালী একটি মাধ্যম হলো ফটোগ্রাফি। মাস্টারপিস বাংলাদেশ এর সৃষ্টিশীলতা রয়েছে। এই সৃষ্টিশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে।

মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পর্যায়ে থেকে মাস্টারপিস বাংলাদেশ এর কর্মীরা যে কাজ করেছে তাদের চিন্তা চেতনা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। এই প্রতিযোগিতার একজন বিচারক ছিলাম। বর্ত্তমান প্রজন্ম যে এত ভালো কাজ করতে পারে তা এই ছবিগুলো না দেখলে বুঝা যাবেনা। আজকের যুব সমাজকে ভালো কাজে ধরে রাখতে চাইলে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।

বিয়ানীবাজার ২৪ সম্পাদক আহমেদ ফয়সল বলেন, আমার স্বপ্ন ছিলো ক্যামেরার পেছনের শিল্পী হবো। বিশিষ্ট ফটোগ্রাফার শাকুর মজিদের একটি ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। বর্তমানে পেশার খাতিরে ক্যামেরা হাতে নেয়া হয় ঠিকই কিন্তু শিল্প হয়ে উঠেনা।

ক্রীড়া ভাষ্যকার মাসুম আহমদ বলেন, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিয়ানীবাজার এলাকার মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। এই এলাকায় অনেক গুনী মানুষের জন্ম হয়েছে।

সৈয়দ মঞ্জুর হুসেন বাবু বলেন, প্রায় ৫ হাজার ফটোগ্রাফি পেয়েছি। সেখান থেকে আমরা বাচাই করেছি মাত্র ৫০টি।

মাস্টার পিস সদস্য তপন চৌধুরী বলেন, মাস্টার পিস শব্দটাই শান্তি। মানুষের মনে শান্তি দেয়াই আমাদের কাজ। শান্তির সহজ পথ হচ্ছে সংস্কৃতি ও সাহিত্য। ছবির মাধ্যমেও মানুষের মনে শান্তির বিজ বপন করা যায়। ছবি শুধু কথা বলেনা। ছবি মানুষের জীবন পালটে দিতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে ফয়জুল আলম শিমাল বলেন, আমরা সংগঠনটির কার্যক্রম শুরু করেছিলাম নৌকা বাইচ দিয়ে। এরপর বিভিন্ন স্কুলে কার্যক্রম করেছি। ওপেন ইয়ার কনসার্ট করেছিলাম এলআরবি দল দিয়ে।