যানজট নিরসনে ‘কর্তৃপক্ষ’ গঠন করে দিলো জাতীয় সংসদ

0
693
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: যানজট নিরসনে মোটরযানের সংখ্যা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দিতে উত্থাপিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৭ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এদিকে নীতিমালা না মেনে বিমান চলাচলে দণ্ডের বিধান রেখে বেসামরিক বিমান চলাচল বিল-২০১৭ নামে আরো একটি বিল মঙ্গলবার পাস হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিলটি উত্থাপন করেন।

পাস হওয়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিলে কর্তৃপক্ষকে কোম্পানি গঠনের ক্ষমতা দিয়ে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমোদন নিয়ে কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর অধীন এক বা একাধিক কোম্পানি গঠন করতে পারবে। বিলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে সভাপতি করে বিআরটিএর একটি উপদেষ্টা পরিষদ এবং বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে একটি পরিচালনা পরিষদ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হবেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, বাণিজ্যসচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব, রেলসচিব, নৌপরিবহন সচিব ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা। তবে সরকার চাইলে এতে যেকোনো ব্যক্তিকে সদস্য হিসেবে কো-অপ্ট করতে পারবে।

নীতিমালা না মেনে বিমান চালালেই দণ্ড:
এদিকে পাস হওয়া বেসামরিক বিমান চলাচল বিলে অবৈধভাবে বাংলাদেশের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭ বছর ও সর্বনিম্ন ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নীতিমালা না মেনে বিমান চলাচলে কমপক্ষে ৫ বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে ফ্লাইটে নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিয়োগের বিধান, বিমান দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে সহায়তা, বেসামরিক বিমান হিসেবে রাষ্ট্রীয় বিমানের ব্যবহার, বেসামরিক বিমান চলাচল ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য বেআইনি আচরণের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিল, বিধি, প্রণিধানের কোনো শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দণ্ডে প্রদানের বিধান সংযোজন করা হয়েছে। সেখানে নীতিমালা লঙ্ঘনকারীদের পাশাপাশি এ অপরাধে সহায়তাকারীদের জন্যও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।