সন্দেহের মূলে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম: ডিবি

0
767
blank
blank

ঢাকা: আনসারুল্লাহ বাংলাটিমকে সন্দেহের মূলে রেখে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা ও শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ তিনজনের ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়ন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, লেখক-প্রকাশক হত্যাকাণ্ডে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জড়িত থাকলেও আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।

আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) নামে বিবৃতি পাঠিয়ে আনসার আল ইসলামের টুইট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই দাবি করে মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রকাশকদের ওপর হামলার ঘটনায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে সন্দেহের মূলে রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমাদের ধারণা, এটিবির কোনো আমব্রেলা (অঙ্গসংগঠন) এ হামলা চালিয়েছে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) চার টিমের সবচেয়ে দক্ষ কর্মকর্তারা হামলার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

প্রকাশকদের ওপর হামলার ঘটনায় ফেনী থেকে ডিবি কাউকে গ্রেপ্তার করেছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। গত সপ্তাহে দুই প্রকাশকের ওপর হামলায় আনসার আল ইসলামের টুইটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তাদের দায় স্বীকার আংশিক সত্য। নিহত লেখক অভিজিৎ রায়ের দুই প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং আহমেদুর রশীদ টুটুলের ওপর শনিবার হামলার পর ওই টুইটটি করা হয়। অভিজিতের পর ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়কে কুপিয়ে হত্যার পরও একই ধরনের বার্তা এসেছিল।

ব্লগার হত্যাকাণ্ডের পর আল কায়দার নামে আনসারুল্লার দায় স্বীকারের বার্তা এলেও সম্প্রতি দুই বিদেশি খুন, পুলিশ খুন এবং শিয়াদের মিছিলে হামলার পর দায় স্বীকারের বার্তা আসে আইএসের কাছ থেকে। এর আগে পুলিশ আল কায়দা সম্পৃক্ত জঙ্গি, আইএস সম্পৃক্ত জঙ্গিদের ঢাকায় গ্রেপ্তারের খবর বেশ ফলাও করে দিলেও দুই বিদেশি খুনের পর অনেকটাই সংযত। বাংলাদেশে আইএসের কোনো তৎপরতা নেই বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তাদের বিবৃতি প্রকাশকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।