সময় টিভি’র সিলেট অফিসের ড্রাইভারের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

0
580
blank
blank

সিলেট ব্যুরো : ভুয়া দলিল তৈরি করার মধ্য দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে সময় টিভির গাড়ি চালক শামীম আহমদের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করেছেন নগরীর যতরপুরস্থ ৭৪ নবপুস্প এলাকার বাসিন্দা সালেহা খাতুন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ৭৪ নবপুস্প এলাকায় আমার স্বামী থেকে প্রাপ্ত জায়গার .৭৬ অংশ জাল দলিল তৈরি করার মাধ্যমে দখলের চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত শামীম।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাদের ভাড়াটিয়া হিসেবে এই বাড়িতে শামীমের প্রবেশ ঘটলেও বর্তমানে শামীম নিজেকে ভুমির মালিক দাবি করে একটি চক্রের মাধ্যমে ভুমিটি দখলের তৎপরতা চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে শামীম আমার অসুস্থ্য স্বামীর সাক্ষর জাল করে। কিন্তু সাক্ষরকৃত ভুমির মালিকানা আমার নামে। এমতাবস্থায় সেই ভুমির একমাত্র বিক্রয় ক্ষমতা এবং রেজিস্ট্রি করার এখতিয়ারও আমার। পরবর্তীতে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরবর্তীতে এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আমার আমেরিকা প্রবাসী ছেলেকে আসামী বানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়।

তিনি বলেন, বেসরকারি টেলিভিশন ‘সময় টিভির’ সিলেট ব্যুরো অফিসের ড্রাইভার শামীম আমাদের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকতেন। এরপর তিনি জালকাগজপত্র তৈরি করে বাসার ৭৬ পয়েন্টের মালিকানা দাবি করেন। এ নিয়ে অনেক ঝুটঝামেলা হয়েছে। মামলা চলছে।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, নবপুষ্প ৭৫ বাসার মৃত আব্দুল মজিদের স্ত্রী ময়মুনা খাতুনের সাথে আমাদের বাসার উত্তরদিকের যৌথ রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছে ৯৮ সাল থেকে। রাস্তাটি যৌথ হলেও ময়মুনা দাবি করেন এটি তার নিজের রাস্তা। এ ব্যাপারেও হাইকোর্টে মামলা চলছে। এ অবস্থায় গত ১২ ডিসেম্বর সাংবাদিক ইকরামুল কবির ও সময় টিভির ড্রাইভার শামীম ঘটনাস্থলে গিয়ে ময়মুনার পক্ষে অবস্থান নিলে পাড়ার লোকজন তাদের তাড়িয়ে দেন।
হালিমা খাতুন প্রশ্ন রেখে বলেন, একজন সাংবাদিক হয়ে ড্রাইভার শামীমের পক্ষে ইকরামুল কবির অবস্থান নিয়ে আমাদের সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার করছেন তা নজির বিহীন।

তিনি কেবল হুমকি ধমকিতেই বিরত নয়, শামীমের পক্ষ নিয়ে প্রায়ই ফেসবুকে আজেবাজে স্ট্যাটাস দেন যা আমাদের পারিবারিকভাবেব হেয় প্রতিপন্ন করে। কয়েকমাস আগে তিনি তেমনই একটি স্ট্যাটাসে আমাকে তালাকপ্রাপ্ত মহিলা হিসাবে উল্লেখ করেন। তালাকের ঘটনা সত্যি নয় বলে তিনি দাবি করেন ।
সালেহা খাতুন এ ব্যাপারে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন ।