সুনামগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিহত ১০ বিয়েবাড়ি এখন মৃত্যুপুরী

0
580
blank
blank

সুনামগঞ্জ: বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিকুটা হাওরে নৌকা ডুবিতে ১০ জন মারা গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালিকুটা হাওরে ঝড়ো হাওয়ায় পড়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিয়ের আনন্দ ম্লান হয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে মাছিমপুর ও পেরুয়া গ্রামে। স্বজনদের হারিয়ে শোকে বিহ্বল দুই গ্রামের মানুষজন। নিহতরা হলো- মাছিমপুর গ্রাামের বাবুল মিয়ার ছেলে শামীম (২), বদরুল মিয়ার ছেলে আবির (৩), জাসদ মিয়ার মেয়ে শান্তা বেগম (৩), আরজ আলীর স্ত্রী রহিতুন নেছা ও তার মেয়ে তাছমিনা বেগম (১১), নোয়ারচর গ্রামের আবজল মিয়ার স্ত্রী আজিরুন নেছা (৩৫) তার দুই ছেলে আসাদ মিয়া (৫) এবং সোহান মিয়া (২), পেরুয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে শহিদুল (৪), একই গ্রামের নছিব উল্লার স্ত্রী করিমা বিবি (৭০)।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার পেরুয়া গ্রামে ফিরোজ আলীর ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। মূলত সেখানে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাছিমপুরে থাকা ফিরোজ আলীর স্বজনরা নৌকা যোগে পেরুয়া যাচ্ছিল। সেখানেই যাওয়ার পথে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে কালিকুটা হাওরে ওই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। সাতাঁর কেটে ২২ জন যাত্রী জীবন রক্ষা করলেও অন্যরা মারা যান। মঙ্গলবার রাতে ৪ জনের ও গতকাল সকালে আরও ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জের ডুবুরি দলের সদস্যরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় হাওরে নিখোঁজদের লাশ উদ্ধার করে।

নৌকায় ছিলেন নিহত আজিরুন নেছার ভাই আমিন নুর। তিনি বলেন, নৌকা ডুবির পর আমার বোন আমার হাত ধরে রাখেন। কিছুক্ষণ পর আমার বোন তলিয়ে যায় হাওরের পানিতে। আমি এক ঘণ্টা সাঁতার কেটে পাড়ে উঠি। রফিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজওয়ান খান জানান, নৌকাডুবির পর পর আশপাশের লোকজন উদ্ধার তৎপরতায় নামে। ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। দিরাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান, দুপুরে পেরুয়া গ্রামের সর্বশেষ নিখোঁজ আজমিনার লাশ উদ্ধারের পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।