ইসি গঠন নিয়ে খালেদা জিয়ার ফর্মুলা অন্তঃসারশূন্য: ওবায়দুল কাদের

0
811
blank

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফর্মুলাকে অন্তঃসারশূন্য, চর্বিতচর্বণ এবং জাতির সঙ্গে তামাশা বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিই ঠিক করবেন কাকে রাখবেন বা রাখবেন না। এখানে তাঁদের করার কিছু নেই। ইসি গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো প্রস্তাব দেবে না।

শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের জবাবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান কর্তৃক ‘সার্চ কমিটি’ গঠন এবং নির্বাচন কমিশন-সংক্রান্ত সংবিধানের ধারা তুলে ধরেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমাদের মনে হয়েছে, এটা চর্বিতচর্বণ। ৪৫ মিনিটের অন্তঃসারশূন্য বক্তব্য প্রমাণ করেছে, তিনি জনগণের ওপর আস্থাশীল নয়। তাঁর বক্তব্যে এমন কিছু প্রসঙ্গ এসেছে, যা ইতিমধ্যে আমাদের সংবিধান এবং নির্বাচন আইনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সংবিধান মোতাবেক চলতে চাই। এর আগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন, সেই প্রক্রিয়াই আমাদের সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখান থেকে আমরা বিচ্যুত হচ্ছি না।’ নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংবিধানে বর্ণিত অ্যাক্ট ভবিষ্যতে করার চিন্তাভাবনার কথাও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কারের ফর্মুলায় বাংলাদেশের জনগণের ওপর কিংবা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ-র‍্যাব, বিজিবির প্রতি তাঁর আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’ তিনি বলেন, ‘জাতির কাছে খালেদা জিয়ার এ ধরনের প্রেসক্রিপশন দেওয়ার আগে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার নামে মানুষ হত্যা, আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা, তাঁর ছেলে তারেকের মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতি এবং নিজের ভুয়া জন্ম তারিখ নিয়ে জাতির সঙ্গে মিথ্যাচারের জন্য।’
সব রাজনৈতিক দল নিয়ে ইসি গঠনে যাচাই-বাছাই কমিটি গঠনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘জাতীয় সংসদে খালেদা জিয়ার দল নেই, এটাই দুঃখের ব্যাপার, দুর্ভাগ্যের ব্যাপার, কষ্টের ব্যাপার। কিন্তু আমাদের তো করার কিছু নেই। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি অংশ নিলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস ভিন্ন হতে পারত। সংসদের দলগুলো এখানে প্রতিনিধিত্ব করবে। সংলাপ কাদের সঙ্গে হবে, যাদের সংসদে প্রতিনিধিত্ব আছে। তাদের তো প্রতিনিধিত্ব নেই।’
খালেদা জিয়ার প্রস্তাবের কোনো কিছুই কি গ্রহণযোগ্য নয়—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কৌশলী জবাব দেন কাদের। তিনি বলেন, ‘তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন এত ভালো ভালো কথা কোথায় ছিল? এগুলো কোথায় ছিল মাগুরা উপনির্বাচনের সময়। কোথায় ছিল ঢাকা-১০ ও মিরপুরের উপনির্বাচনের সময়?’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।