এখন আর মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করে না: প্রধানমন্ত্রী

0
476
blank

ঢাকা: চলতি মৌসুমে দ্বিতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আরেকটা বন্যার পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। তবে আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। বন্যা-প্রাকৃতিক দুর্যোগ সরকার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাটিয়ে উঠেছে। আমাদের এক কোটি ৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ আছে। আরো খাদ্য আমদানি করা হচ্ছে। আমদানি পণ্যে শুল্কছাড় দেয়া হয়েছে, সুতরাং এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক ১৪২১-১৪২২ বঙ্গাব্দ’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কৃষিখাতে অনন্য অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে ৬৪ ব্যক্তিকে এ পদক দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আর বাংলাদেশের মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করে না। যারা একবেলা খেতে পারতো না আল্লাহর রহমতে এখন তারা দুবেলা-তিনবেলাও খেতে পারে। একজন দিনমজুর যা আয় করে এমনও সময় ছিল যে একবেলা খাবার কিনতে পারতো না। আর এখন তারা প্রায় ১০-১২ কেজি চাল কিনতে পারে। সেই পরিমান তাদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থা একটা ‘ব’ দ্বিপ। আমরা ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে ভূউপরিস্থ পানি আমরা যতো ব্যবহার করতে পারি সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। পানির ব্যবহার পরিমিত রাখতে হবে। পানির যেন অপচয় না হয় সেদিকেও বিশেষভাবে আপনারা দৃষ্টি দেবেন।

কৃষিতে আরো উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাছ, মাংস, ডিম, দুধসহ সব ধরনের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। যেন দেশের চাহিদা পূরণ করে আমরা বিদেশে রফতানি করতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের খাদ্য চাহিদা বাড়ছে, আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমরা খাদ্য নিরাপত্তাও দিতে পারবো। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতেই সরকার কাজ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মাটি এতো উর্বর যে, কোনো কিছু উদ্যোগ নিলেই আমরা উৎপাদন করতে পারি।

কৃষি জমি নষ্ট না করে যত্রতত্র শিল্প কারখানা না গড়ারও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বর্ষাকালে শাক-সবজির চাহিদা মেটাতে ভাসমান পদ্ধতিতে চাষের কথাও বলেন সবার উদ্দেশে।

বাংলাদেশের উন্নয়নে কৃষিই সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কৃষি গবেষণা, উন্নত জাতের বীজ উদ্ভাবনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

তিনি পরিবেশ ও চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের বদলের ওপরের পানি প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহারের কথাও বলেন দেশবাসীর উদ্দেশে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ প্রমুখ।