ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, দেশে বাঁচার অধিকার নেই। স্বাধীনভাবে চলার অধিকার নেই, বলার বা লেখার অধিকার নেই। দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র নেই, রাজনীতিবিদদের মাঝে পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই। বেকারত্ব আর এ বাকস্বাধীনতাহীনতার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ। মানুষ এ অবস্থার পরিবর্তন চায়। আজ জাপা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ছাত্র সমাজের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সমাবেশের আগে তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় প্রতীক ও নিজের মুর্যা ল উম্মোচন করেন। জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি সৈয়দ ইফতেখার আহসানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এসএম ফয়সল চিশতি, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ-ই-আজম, আব্দুল হামিদ ভাসানী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নোমান মিয়া, ছাত্র সমাজ নেতা মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক আব্দুর রহমান রোহান, ছাত্র নেতা জামালউদ্দিন, নকিবুল হাসান নিলয়, ইয়াসিন মৃধা প্রমুখ।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি ছাত্র সমাবেশে আক্ষেপ করে বলেন, শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে আমি ক্ষমতাসীন থেকে এ সংগঠনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিলাম। মনে করেছিলাম আমার মত অন্যরাও তাদের ছাত্র সংগঠন বিলুপ্ত করবে, কিন্তু করেনি। আজকে শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রের ঝনঝনানি। লেখাপড়ার পরিবেশ নেই। অধিকার আদায়ে স্বাধীন দেশে রাজপথে আন্দোলনে নামতে হবে কেন প্রশ্ন করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি ক্ষমতালোভী নই, সেনাপ্রধানই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তখন ক্ষমতা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউ তখন আমাকে সহযোগিতা করেনি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সামরিক শাসন চিরতরে উঠে দেয়ার জন্যই ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির সৃষ্টি হয়েছিলো।
এরশাদ ছাত্র সমাজ নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তোমরা মধুর ক্যান্টিনে আমার জন্মদিন পালন করেছো। আগামীতে তোমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করো। নতুন প্রজন্মের কাছে আমার উন্নয়নের ইতিহাস তুলে ধরো, দেখবে জাতীয় ছাত্র সমাজ দেশের সবচেয়ে বড় সংগঠনে পরিনত হবে।