ঢাকা: দেশে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার কর্তৃক সৃষ্ট সন্ত্রাস, সহিংসতার কারণে গণতন্ত্র অন্ধকারে হারিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রবিবার বিকেল ৪টার দিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গুম ও হত্যাসহ আতঙ্কের এক অভূতপূর্ব বার্তাবরণে দেশের গণতন্ত্র আজ অন্ধকারে হারিয়ে গেছে।
রিজভী বলেন, দেশে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ কিছু মানুষের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, অথচ দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ওপর এর খড়্গ নেমে এসেছে। কারণ যারা বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাননি তারাই বৃহত্তর জনগোষ্ঠী। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন কিছুটা বৃদ্ধি হলেও জীবনযাত্রার মান এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, এই বেতন বৃদ্ধিতেও তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাড়ি ভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এদের ক্রয়ক্ষমতা এখন চরম সংকটাপন্ন।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়েই চলছে। অনেক টাকা দিয়ে সামান্য পরিমাণ আনাজ-পাতি কেনা যায় ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র। সাধারণ মানুষের মধ্যে এক গুমোট পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের এখন নাভিশ্বাস উঠেছে। উদরে প্রচণ্ড ক্ষুধা থাকলেও তারা মুখে কিছু বলতে পারছে না। নিম্নবিত্তরা এখন রাস্তায় ভবঘুরে ভিক্ষুকে পরিণত হয়েছে। আবারো সেই জয়নুল আবেদিনের চিত্রের মতো ডাস্টবিনে কুকুর মানুষ এক সাথে খাবার খুটে খাচ্ছে। দেশে আবারো দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। ঢাকার নাভিমূলের যে সমস্ত রাস্তা ভিআইপি রোড বলে পরিচিত, যেসব রাস্তা দিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা যাতায়াত করেন, সে সমস্ত রাস্তার আশপাশেই ডাস্টবিনে ক্ষুধার্ত মানুষ খাদ্য খুঁজে বেড়াচ্ছে।