Sunday, January 7, 2024

বিবাহিত জীবনকে সুন্দর করতে জেনে নিন কি করতে হবে

0
blank

নিউজ ডেস্ক:
আমরা নিশ্চিন্তে আমাদের স্বামী, স্ত্রী, ভাইবোন আর সন্তানদের বিশ্বাস করি। আমরা দেখি নিয়মিত তারা কাজের জন্য বের হচ্ছে সময় মতো ফিরেও আসছে কিন্তু আসলে তারা অন্য রকম অসামাজিক কোনো কাজে জড়িয়ে পড়ছে কিনা তার কি খোঁজ রাখছি

পরিবারের একজনের এধরনের পরকীয়ার সম্পর্ক ধ্বংস করে দিতে পারে ব্যক্তি এবং পারিবারিক বিশ্বাস আর শ্রদ্ধার সম্পর্ক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিথ্যা মোহের বশবর্তী হয়ে পরকীয়ার মতো একটি সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত না হয়ে, বিবাহিত জীবনকে আরও সুন্দর এবং সুখী হতে যে বিষয়গুলোর আমাদের চর্চা করতে হবে-

সততা
সম্পর্কের ক্ষেত্রে মূল স্তম্ভ হচ্ছে সততা। প্রতিটি সম্পর্কের বিষয়ে সততা দেখাতে হবে। একজনকে অন্যজনের অনেক কাছে নিয়ে আসবে যখন সে বলতে পারবে,‘যাই হোক তুমি আমার সম্পর্কে সত্যটাই জানবে’।

ক্ষমা
একদিনে কোনো সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। কোনো ভুল হলে প্রথমেই সম্পর্ক ভেঙ্গে দেওয়ার চিন্তা না করে সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে।

বোঝাপড়া
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া থাকাটা খুব জরুরি।

বিশ্বাস
এমন কিছু কখনো করা যাবে না যাতে করে দুজনের মধ্যে বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। শুধু অবিশ্বাসই একটি সম্পর্ক ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

সময় কাটানো
একসঙ্গে সময় কাটাতে আগ্রহী হতে হবে। দুজনের একান্ত সময়টুকু আনন্দময় করে তুলতে নতুন নতুন পরিকল্পনা করতে হবে।

বন্ধুত্ব
‘বিয়ের আগে আমরা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম’। তো, বিয়ের পরে কী হলো বিয়ের পর সম্পর্কটাকে আরও মজবুত করতে চাই দুজনের নিবিড় বন্ধুত্ব।

ধৈর্য
দাম্পত্য জীবনের পুরো সময়টাই হানিমুন মুডে থাকতে পারবো…এটা ভাবলে বড় ধরনের ধাক্কা খেতে হতে পারে। দুঃসময় আসতে পারে, এমন অবস্থায় ভেঙ্গে না পড়ে ধৈর্য ধরতে হবে।

এক বিয়েতে বিশ্বাস
এক সঙ্গীর সঙ্গেই সারাজীবন কাটানোর জন্য মনস্থির করতে হবে।

ভালোবাসা
সব সম্পর্কের মূলে থাকে ভালোবাসা। সঙ্গীর জন্য ভালোবাসা থাকতে হবে এবং সেই ভালোবাসার প্রকাশও করতে হবে।

তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এরকম অনেক বিষয় নিয়েই সন্দেহ দেখা দেয়, যেগুলোর হয়তো তেমন বাস্তব ভিত্তি নেই। তাই সন্দেহ করার আগে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলে বা খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হন।

আমরা কখনোই চাই না সুখের সংসার কোনো সন্দেহে ভেঙ্গে যাক। কিন্তু এটাও হওয়া উচিত নয় যে দিনের পর দিন একজনকে ঠকিয়ে অপরাধী পার পেয়ে যাবে।

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে হবিগঞ্জে পাকিস্তানি নারী, নির্যাতনের মামলা দায়ের

0
blank

হবিগঞ্জ: মাহা বাজোয়ার (৩৫) নামের পাকিস্তানি এক নারী স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে বাংলাদেশের হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় এসেছেন। সেই সঙ্গে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেছেন। এক মাস ধরে ওই নারী চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থান করছেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামি ও স্বামীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার (৩৫)। তিনি চুনারুঘাট পৌরসভার উত্তর বড়াইল এলাকার বাসিন্দা।


পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট পৌরসভার উত্তর বড়াইল এলাকার শফিউল্লা মজুমদারের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার প্রায় ১০ বছর আগে দুবাইয়ে প্রবাসী ছিলেন। সেখানে পাকিস্তানের নারী মাহা বাজোয়ারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ২০১৪ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। পরে দুবাই থেকে দেশে ফিরে সাজ্জাদ আবার বিয়ে করে সংসার শুরু করেন।

বিজয় দিবসে সিলেট ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ এর শ্রদ্ধা নিবেদন

0
blank

সিলেট: মহান বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছে ‘সিলেট ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ’। ১৬ ডিসেম্বর, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল শিব্বির আহমদ ওসমানী’র নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

সিলেট ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অপর্ণ করেন, সিলেট ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ শিব্বির আহমদ ওসমানী, রেক্টর সাবিহা চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তাসনীম মোশাররাত চৌধুরী, সিনিয়র প্রভাষক মোঃ ওয়ালিদ, প্রভাষক মঞ্জুশ্রী ব্যানার্জী, প্রভাষক আকলিমা বেগম, সহকারী শিক্ষক জনাব হাফিজুর রহমান, সহকারী শিক্ষক মুজাম্মেল আহমদ, লিপি আক্তার সহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

0
blank

ঢাকা: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
শনিবার সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

বিজয় দিবসে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন

0
blank

সিলেট: মহান বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদ, সহ সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, ক্লাবের সিনিয়র সদস্য শিব্বির আহমদ ওসমানী, সদস্য শহীদুর রহমান জুয়েল, জসিম উদ্দিন, এম এ ওয়াহিদ চৌধুরী, আলমীর আলম, আবু জাবের, আব্দুল হাসিব প্রমুখ।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শিল্পপতি শাহ মো: আনোয়ার হোসেন

0
blank

তৈয়বুর রহমান, জগন্নাথপুর: ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জগন্নাথপুরের পাঠলী ইউনিয়নের সাচায়ানী গ্রামের কৃতি সন্তান লন্ডন প্রবাসী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিল্পপতি শাহ মো:আনোয়ার হোসেন।

তিনি এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, স্বশ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও আত্মদানকারী সকল শহীদদের এবং বীরাঙ্গনা মা-বোনদের যাদের আত্মত্যাগ ও যাদের বীরত্বের বিনিময়ে আমাদের দেশ বাংলাদেশ। সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত এ বিজয়। জাতীয় বিজয় দিবস। বিজয়ের এই দিনে সকল অপশক্তিকে রুখার প্রত্যয়ে ভেদাভেদ ভুলে মহামূল্যবান এই অর্জনকে কাজে লাগিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

বিপদ কেটে গেলে ঐক্যকে অবহেলা আত্মঘাতী: ইনু

0
blank

ঢাকা: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিপদে ঐক্য আর বিপদ কেটে গেছে মনে করে আত্মপ্রসাদে ভুগে ঐক্যকে অবহেলা করা আত্মঘাতী। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন এবং তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনা রাজনৈতিক ঐক্যেরই ফল।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় হাসানুল হক এসব কথা বলেন। দলের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব কথা জানানো হয়।

হাসানুল হক ইনু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে বড়র (দল) অহংকার এবং ছোটর (দল) হীনম্মন্যতা পরিহার করা উচিত।

পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক লেনদেন বা সমঝোতার সুযোগ নেই বলে জানান এই নেতা। তিনি বলেন, যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশবিরোধী পাকিস্তানপন্থী অশুভ রাজনৈতিক শক্তিকে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠ থেকে চিরবিদায় দিতেই হবে।

পাঠলী ইউনিয়ন আল ইসলাহ এর উদ্যোগে মাওলানা আব্দুল কাহ্হার’কে সংবর্ধনা

0
blank

তৈয়বুর রহমান, জগন্নাথপুর: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পাঠলী ইউনিয়নের পাটলী এলাকার কৃতি সন্তান দারুল হাদিস লতিফিয়া ইংল্যান্ড মাদ্রাসার ভাইস্ প্রিন্সিপাল শায়েখ হযরত মাওলানা আব্দুল কাহ্হার সাহেব কে স্বদেশ আগমন উপলক্ষে পাঠলী ইউনিয়ন আল ইসলাহ এর উদ্যোগে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

শুক্রবার বাদ জুম’আ মিনাজপুর হাফিজিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা আল ইসলাহ এর তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও জগন্নাথপুর উপজেলার সংগঠনিক সম্পাদক সমছু মিয়া সুজল , ইস্ট লন্ডন কমিটির আল ইসলাহ নেতা হাজী মুক্তার মিয়া,মাস্টার রুহুল আমিন।

সংবর্ধিত অতিথি কে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন, পাঠলী ইউনিয়ন আল ইসলাহ এর সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুন নুর, সাধারণ সম্পাদক -মাওলানা আবুল খায়ের, সহ সাধারণ সম্পাদক -শাহনুর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সমাজ কল্যান সম্পাদক -শিপন আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধরন

0
blank

সাকিব সাদমান:

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল মতে, নতুন বছরে জাতীয় সংসদের আরো একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন একটি নাটক কিনা, ইতোমধ্যে সে প্রশ্ন উঠেছে। কেন এহেন প্রশ্ন!
গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন মানেই ভোটের উৎসব। অথচ এই দেশে অর্ধেক মানুষ ভোটে আর অর্ধেক মানুষ ভোটের বাইরে। দুই বড় দলের একটি ভোটে, অন্যটি জেলে বা দৌড়ের উপরে। নির্বাচন মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আদতে একটি নিরেট প্রতিযোগিতা। নির্বাচন মানেই দুই বা ততোধিক দল বা প্রার্থীর লড়াই। যথাযথ নির্বাচন মানেই পূর্বপরিকল্পিত নিশ্চিত ফলাফল নয়- এমনকি, কোনো জরিপও পুরোপুরি মিলে যায় না। মঞ্চে নাটক করা সহজতর। কিন্তু নির্বাচনের ময়দানে নাটক মঞ্চায়ন যথেষ্ট কঠিন। এই মাঠে প্রথমেই দরকার হয় মোটামুটি সমান প্রতিপক্ষ। নির্বাচনে সমান সমান প্রতিপক্ষ না হলে সেটির ভাগ্যে জুটে যায় একতরফা নির্বাচনের অভিধা। প্রতিযোগিতা না থাকলে ফলাফল আগেই নিশ্চিত হওয়া যায়, দু’টি দলের খেলার ফলাফল আগেই স্থির হয়ে গেলে সেই খেলায় মজা থাকে না, উৎসব তো দূরঅস্ত। আগামী নির্বাচনটি ব্রাজিলের সাথে আফগানিস্তানের ফুটবল খেলার মতোই মনে হচ্ছে অনেকের কাছে। আবার প্রতিপক্ষ মাঠে আসেনি বলে আবাহনী ফুটবল টিমকে দুই ভাগ করে মাঠে নামিয়ে খেলতে দিলেই বা কেমন খেলা হতে পারে! অন্যদিকে নির্বাচনের আগেই ফলাফল নিশ্চিত বলে দিতে পারলে সেটিকে আদৌ নির্বাচন বলা যাবে কিনা, সেও এক প্রশ্ন।

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৪৪ দলের মধ্যে ২৯ দল এবং সেই সাথে স্বতন্ত্র শ’ চারেক (কমবেশি) প্রার্থী নির্বাচনে যাচ্ছেন। বাছাইয়ের পর এখন প্রার্থী সংখ্যা এক হাজার ৯৮৫। বাতিল থেকেই আপিল-অন্তে প্রার্থী সংখ্যা বাড়বে। আবার প্রত্যাহারের পরই চূড়ান্ত হবে প্রার্থী তালিকা। ২৯টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগের জোটেই আছে ১৪টি দল। বাকি দলগুলো আওয়ামী জোটের শরিক না হলেও সমমনা। অন্যদিকে নির্বাচনে ইসলামী দলের প্রার্থী ৪৪৭ হলেও প্রধান ইসলামী দল নির্বাচনকে ‘না’ বলে দিয়েছে। ভোটের বিবেচনায় প্রধান ইসলামী দল যথা- জামায়াতে ইসলামী (নিবন্ধনহীন), ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস নির্বাচনে যাচ্ছে না। এই পাঁচ দল ২০১৪ সালের নির্বাচনও বর্জন করেছিল। নিবন্ধিত সাতটি ইসলামী দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এই সাতটির মধ্যে ত্বরিকত ফেডারেশনের (জোটসঙ্গী) গত দু’টি সংসদে প্রতিনিধি ছিল- যা আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা করেই প্রাপ্ত। বাকি ছয়টি তথা বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি অতীতে সংসদীয় আসন পায়নি এবং তাদের মধ্যে অতীতে অংশগ্রহণকারী দলের ভোটের হার নগণ্য। আওয়ামী লীগের ভাষায় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতার খেতাব দিতে এই দলগুলো এক-দু’টি আসন পেয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী ১৪ দল এবং সাতটি ইসলামী দল ছাড়াও ৮-৯টি দল এবারের ভোটে নেমেছে। এদের মধ্যে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএম, কল্যাণ পার্টি রয়েছে।
স্বৈরাচারের পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত চারটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বলে মান্যতা পায়। এর মধ্যে ২০০৮ সালের নির্বাচন নির্দলীয় কেয়ারটেকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হলেও বড় দল বিএনপির জোরালো ওজর-আপত্তি ছিল। বাইরের হস্তক্ষেপের কথাও ওঠে। ১৯৯১, ১৯৯৬ (জুন), ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ছাড়া ১৯৯১ সালে বাকশাল (৫), কমিউনিস্ট পার্টি (৫), ইসলামী ঐক্যজোট (১), ন্যাপ-১ (মোজা), গণতন্ত্রী পার্টি (১), ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (১), জাসদ-১ (সিরাজ), ওয়ার্কার্স পার্টির (১) সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছিল। ১৯৯৬ (জুন) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ছাড়া ইসলামী ঐক্যজোট, জাসদ (রব) একটি করে আসন পেয়েছিল। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ছাড়া ইসলামী জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট (১৪), ইসলামী ঐক্যজোট (২), কৃষক শ্রমিত জনতা লীগ (১), জাপা-১ (মঞ্জু), সংসদে আসন পেয়েছিল। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র বাদে প্রায় ৮০টি, ১৯৯৬ (জুন) নির্বাচনে ৯০টি (কমবেশি), ২০০১ সালে ৫৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।

নির্বাচনের ঢোল বাজার শুরুতেই অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য এবং একটু পরেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের রব ওঠে। সরকার, সরকারি দল ও বিরোধী দল, কারোরই এ নিয়ে আপত্তি ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রও প্রথম থেকে এটি চেয়ে আসছে। পরে সরকারের তরফে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নতুন বয়ান দেয়া হয়। বলা হয়, জনগণের অংশগ্রহণই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, অর্থাৎ রাজনৈতিক দল নয়, ভোটার এলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। সুধীজন ও অংশীজনের একাংশ বলছে, কেবল ভোটারের অংশগ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন হতে পারে না। তাদের দাবি, প্রধান রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নিলে বিপুলসংখ্যক ভোটার কেন্দ্রেই যাবে না। এই ভোটাররা পছন্দের দল বা মার্কা পাবে না বলে ভোটদানে বিরত থাকবে। এ কথায় যুক্তি আছে।
১৯৯১, ১৯৯৬ (জুন), ২০০১ সালে কেবল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রাপ্ত ভোট ছিল যথাক্রমে ৩০.০৮-৩০.৮১, ৩৭.৪৪-৩৩.৬১, ৪০.১৩-৪০.৯৭ শতাংশ। এর মানে হচ্ছে, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি ভোটে না এলে এক-তৃতীয়াংশের বেশি ভোটার নির্বাচনে নেই। এর সাথে যুক্ত হবে শরিক বা সমমনা দল। তাতে একটি মাত্র দল আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপি ভোটে না এলে ভোটের দিনে ৫০ শতাংশ ভোটারের দেখা মিলবে না। ১৯৯১, ১৯৯৬ (জুন) ও ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের প্রাপ্ত ভোট ছিল যথাক্রমে ১২.১৩, ৮.৬১ ও ৪.২৮ শতাংশ। নির্বাচন মানে একাধিক দল থেকে পছন্দমতো একটি বেছে নেয়া। ৫০ শতাংশ ভোটারের মার্কা বা দল অনুপস্থিত থাকলে পছন্দমতো বেছে নেয়ার সুযোগ থাকে না। এখানে ২৯টি দলের অংশগ্রহণ নিতান্তই পানসে। কেননা, গোটা দু’দল ছাড়া বাকিদের ভোটের হার নগণ্য। সুতরাং এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের কথিত বয়ানে অংশগ্রহণমূলক তকমা পাবে কিনা, সে প্রশ্ন থাকবেই। দি¦তীয়ত, নির্বাচনটি হতে যাচ্ছে সম্পূর্ণ বিরোধী দলশূন্য অবস্থায়। বিরোধিতার বিন্দুমাত্র স্পেস থাকবে না এ নির্বাচনে। ২৯ দলের সব ক’টিই আওয়ামী লীগের সমমনা, ১৪টি খোদ জোটসঙ্গী। একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দলশূন্য জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচন সম্প্রতি কম্বোডিয়ার নির্বাচনী মঞ্চায়নের মতোই বিবেচিত হতে পারে।

সমমনা দল, আওয়ামী লীগের ডামি বা বিকল্প প্রার্থী কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনকে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতার খোলস পরানোর নাটকের মহড়া চলছে। যাদের কেউ চেনে না, সংসদে আসন পায়নি, সর্বোচ্চ এক-দুই শতাংশ ভোট পেতে পারে, তাদের সাথেও আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সভা হয়েছে ও হচ্ছে। জোটসঙ্গীদের তোয়াজ-তোষণ অব্যাহত আছে। মুরগি ধরার মতো করে বিএনপি থেকে লোক বাগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি জোট থেকে ছুটে যাওয়া এবং গত নির্বাচনে ১ শতাংশেরও কম ভোট পাওয়া কল্যাণ পার্টিকেও খুদ-কুঁড়ার ভাগ দেয়ার বন্দোবস্ত হয়েছে। বিএনএম-তৃণমূল বিএনপির কতিপয় জনবিচ্ছিন্ন-জনধিকৃতের সাথেও আওয়ামী লীগের দরকষাকষি করতে হচ্ছে। ২০১৪-এর বিনাভোটের জয়ের কলঙ্ক ঘোচাতে সর্বত্র ডামি প্রার্থীর আয়োজন রাখতে হচ্ছে- এই প্রার্থীদের কেউ কেউ মূল নৌকার প্রার্থীকে চোখ রাঙিয়ে হুঙ্কারও দিচ্ছে। এদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এত বড় পুরনো ও সংগঠিত দলটিকে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগে এই বেসামাল অবস্থার সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে না। একজন ইউটিউবার প্রায়ই বলেন, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ নামক দলটির বস্তুত মৃত্যু ঘটেছে। তার মতে, সবচেয়ে বড় পুরনো সুসংগঠিত দলটি জনভোটারের মুখোমুখি না হয়ে সরকারি মেশিনারিজ ব্যবহার করে আগের রাতে ভোট সম্পন্ন করেছে। আরেক জনকে বলতে শুনেছি, বঙ্গবন্ধুর আসনেও দলটি ভোট করতে সাহস করেনি। একটি দলের জন্য এর চেয়ে বড় দেউলিয়াপনা আর কী হতে পারে! এই একই লোকেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন, প্রতিযোগিতাশূন্য, অর্ধেক ভোটারহীনতার নির্বাচনকে কী বলবে? আওয়ামী ঘরানার সবাই ভোট দিতে যাবে কিংবা এই ৫০ শতাংশ ভোটারের সবাই বেঁচে আছে অথবা দেশেই তথা ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থান করছে, সেটিও না। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় অনেকেই ভোটের দিন কেন্দ্রমুখী হতে চাইবে না। তবে নতুন ভোটাররা কোনদিকে যাবে, তা অবশ্য দেখার বিষয়। কেউ কেউ বলছেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি বলে এবার খুব উৎসাহ নিয়েই ভোট দিতে যাবে। আবার কেউ কেউ ১৯৯১, ১৯৯৬ (জুন), ২০০১-এর নির্বাচন দেখিয়ে বলছে, নিকট অতীতের ক্ষমতাসীনরা প্রতিবারেই হেরেছে- ফলে নতুন ভোটাররা কতভাগ ভোট দিতে যাবে তা নিয়ে দ্বিধা আছে।
তবে যাবতীয় কিছু দেখে মনে হতেই পারে, উপরের সব কিছু ছাপিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টায় আওয়ামী লীগ দারুণভাবে সফল হয়েছে- এটিই কি দলটির সাধারণ সম্পাদকের সেই খেলা! খেলা কিন্তু আরো আছে। ভোটার উপস্থিতির খেলা। আওয়ামী লীগ বুঝেছে যে, মুরগি ধরা আর ডামি প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনকে কাক্সিক্ষত মানে নিয়ে যাওয়া দুরূহ। এখন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির জন্য তিনটি খেলার সুযোগ আছে। প্রথমত, কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া ভোটারের সংখ্যা সততার সাথে প্রদর্শন করে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়া যে, বিএনপির সন্ত্রাসের ভয়ে ভোটার আসতে পারেনি, এই অজুহাত দাঁড় করানো সহজ হবে।

দ্বিতীয়ত, ভোটার সংখ্যা যাই-ই হোক, সেটিকে বাড়িয়ে দেখানো; ৩০ শতাংশকে ৬০ শতাংশ বলে চালিয়ে দেয়া। এটিও কঠিন হবে না। তৃতীয়ত, জোর করে ভোটারদের কেন্দ্রে হাজির করা। এ ক্ষেত্রে জোরজবরদস্তি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, অর্থপ্রদানের ঘটনা ঘটতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। এলাকার নেতাকর্মীরা জানে, কোন কোন বাড়ির ভোটার নির্ধারিত মার্কা নেই বলে ভোটকেন্দ্রে যাবে না। ভোটের সময় এরাই আওয়ামী লীগের টার্গেটে পরিণত হতে পারে। এতে সরকারি যন্ত্রাদিও ব্যবহৃত হতে পারে। যারা এমন আশঙ্কা করছেন, তাদের ধারণা কেবল ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপির ১০-১৫ হাজার নেতাকর্মী জেলে ঢোকানো, ৪০ লাখের বিরুদ্ধে দেড় লাখ মামলা দায়ের, দেড় হাজারকে ভুয়া মামলায় সাজা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে রাখার চেয়ে গ্রামের কেবল সমর্থক ধরনের ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রে নিয়ে আসা অনেক সহজ হবে।

জানি না, এই তিন খেলার কোনোটি আওয়ামী লীগ আদৌ খেলবে কিনা। সেটা যথাসময়ে দেখা যাবে।

[সূত্র : দৈনিক নয়া দিগন্ত]

বহির্বিশ্বের চাপ নেই, নিজেদের চাপে আছি: মোমেন

0
blank

নিউজ ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, তারা বহির্বিশ্বের কোনো চাপে নেই, তারা অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে রয়েছেন। কারণ তার দল একটি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। এটা আমাদের চাপ। তবে আমরা এটা করতে চাই।’

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘এনারজাইজিং বাংলাদেশ’স ইয়ুথ ওয়ার্কফোর্স ফর গ্লোবাল সাকসেস’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।