আগামীকালই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর

0
416
blank
blank

আগামীকালই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ অনুরোধ করেন। জাফরুল্লাহ বলেন, একটা জাতিকে ধ্বংস করতে তার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা প্রয়োজন। দয়া করে এটি করবেন না। দরকার হলে শিক্ষার্থীরা দুই বা তিন শিফটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবে। তারপরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন, না হলে জাতি সিকিমে (ভারতের একটি রাজ্য) পরিণত হবে। আর এর জন্য দায়ী হবেন আপনি।

মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘটনায় গ্রেফতার ৫৪ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে সোমবার এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিকদের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পৃথিবীতে দুটি জালিম সরকার আছে। একটি হলো নেতানিয়াহুর ইসরাইল, অন্যটি নরেন্দ্র মোদির ভারত। তাই যখন নরেন্দ্র মোদি এসেছেন তখন ছাত্ররা প্রতিবাদ করে ন্যায্য কাজ করেছেন। গ্রেফতার ৫৪ জনসহ সব ছাত্ররাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তারাই উন্নত ভবিষ্যৎ দেখাতে পারে। নিজের স্বার্থেই আমি তাদের আন্দোলনে আসি।

তিনি বলেন, ইসরাইল এবং ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে রেখেছে। ঘেরাও রাখার একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা আছে। একটি হলো বাংলাদেশকে সিকিমে পরিণত করা। অন্যটি আপনারা দেখতেই পেয়েছেন। পাসপোর্ট থেকে ইসরাইলের নাম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারছেন না উনি কী ভুল করছেন। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ‘জাতিকে একত্রিতভাবে উন্নতির পথে আসতে’। প্রধানমন্ত্রীকে আমি অনেকবার বলেছি, সবাইকে ডাকেন, একত্রিত করেন। কিন্তু উনি ডাকেননি। তিনি সত্যকে ভয় পান।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া, গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদসহ ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের সামনে অবস্থান নেন।