এবারও সংস্কারপন্থী নেতাদের ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি

0
1006
blank
blank

ডেস্ক রিপোর্ট: এবারও ওয়ান ইলেভেনের সংস্কারপন্থীদের ভাগ্যের চাকা ঘুরলো না। সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রেসিডিয়ামে ঠাঁই হয়নি। সম্মেলনের আগে দলের মধ্যে বেশ আলোচনায় ছিলেন তারা। ওয়ান ইলেভেনের পর দলের ওয়ার্কিং কমিটি থেকে সংস্কারপন্থী নেতা ও তাদের অনুসারীরা বাদ পরেন। প্রবীণ নেতারা উপদেষ্টামণ্ডলী, সংসদ সদস্য, পার্লামেন্টারি বোর্ড ও মন্ত্রীত্ব কপালে জুটলেও অনেকের কোথাও জায়গা হয়নি।

সংসদে ঠাঁই পেলেও ওয়ার্কিং কমিটিতে জায়গা না হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আব্দুল মান্নান, খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন ওয়াকিং কমিটির সদস্যপদ পাবেন কিনা এ নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে। কোথাও ঠাঁই না পেয়ে দলে সক্রিয় হওয়া মুকুল বোষ সদস্য হবেন এমন আলোচনা রয়েছে। কোথাও ঠাঁই না পাওয়া সাবেক ডাকসু ভিপি ও ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে উঠে এসেছিলেন সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ। এখনো তার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে না ষাটের রাকসু ভিপি, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সায়ীদের। সুলতান মনসুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, আমার নেত্রী আমাকে ভাইয়ের মতো দেখতেন। যারা আমার সম্পর্কে তাকে ভুল বুঝিয়েছেন, জনতার আদালতে একদিন তাদের বিচার হবে।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহালুল মজনুন চুন্নু এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটিতে ঠাঁই পাননি। ঠাঁই পাননি বিগত ২ কাউন্সিলে বাদ পরা হাবিবুর রহমান খানও। এমনকি ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া মোজাফফর হোসেন পল্টু, মোনায়েম সরকার ও নরুল ফজল বুলবুলের দলের ওয়ার্কিং কমিটিতে আজ পর্যন্ত ঠাঁই হয়নি। তারা কেউই আওয়ামী লীগ ছাড়েননি। তবুও ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।