খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন: মির্জা ফখরুল

0
559
blank

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া চার মাসের জামিন স্থগিত করে আদালত যে আদেশ দিয়েছেন, তাতে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমান সরকার বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র করছে বলেও উল্লেখ করে তিনি।

বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ জামিনের আদেশ রোববার পর্যন্ত স্থগিতের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল এ অভিযোগ করেন।

এদিন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যেন দ্রুত কারাগার থেকে বের হতে না পারেন, সে জন্য সরকার ছলচাতুরী করছে। তাকে ওকালতনামায় পর্যন্ত সই করতে দিচ্ছে না। মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে এখন তার জামিন দিতেও নানা গড়িমসি করছে।

‘মূলত সরকার একটি ছক তৈরি করেছে- কীভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে কারাগারে আটকে রাখা যায়।’

ফখরুল বলেন, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ছাড়া আবার একটি নির্বাচন করতে চক্রান্ত করছে। এ জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

‘বিগত সেনা সমর্থিত কেয়ারটেকার সরকারের সময় খালেদা জিয়ার নামে চারটি মামলা হয় আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়। কিন্তু খালেদা জিয়ার চারটি মামলা ৩৬টি হয়েছে। আর শেখ হাসিনার ১৫টি মামলার একটিও নেই। এদিকে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭৮ হাজার মামলায় ১২ লাখ আসামি করা হয়েছে’, যোগ করেন তিনি।

পুলিশ হেফাজতে ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল। একই সঙ্গে এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

নেপালে ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন মির্জা ফখরুল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মীর নাসির, সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, আবদুস সালাম, এজে মোহাম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ।