দুর্যোগকালে ত্রাণ বিতরণের নতুন কৌশল খুঁজছে সরকার: মায়া

0
1514
blank
blank

ঢাকা: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, দুর্যোগকালে ত্রাণ বিতরণের নতুন কৌশল খুঁজছে সরকার। কী করে দুর্যোগ আক্রান্ত মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া যায়, সেটাই হবে এ কৌশলের মূল পন্থা। মঙ্গলবার রাজধানীর ব্রাক সেন্টারে Community resilience: a holistic Approach শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিগত বন্যা সাইক্লোনসহ কয়েকটি দুর্যোগের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে দুর্যোগে আক্রান্ত নারী, বৃদ্ধ/বৃদ্ধারা ত্রাণসামগ্রী নিতে আসতে পারেন না। আবার ত্রাণসামগ্রী দেয়ার প্রক্রিয়াটাও সহজ নয়। ২০/৩০ কেজি চাল বা অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী অনেকের পক্ষে নিয়ে যাওয়াও কষ্টকর হয়। আবার কোথাও কোথাও ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ শোনা যায়। সরকার যেহেতু দুর্যোগে আক্রান্ত প্রত্যেকটি মানুষকে সহায়তা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ তাই সরকারকেই প্রত্যেক মানুষের ত্রাণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের কষ্টকে লাঘব করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় করণীয়গুলো সাধারণ মানুষকে বারংবার অবহিত করে সচেতন করে তুলতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে ড্রিল করা ব্যতিরেকে ভূমিকম্পে কোনো মানুষ হঠাৎ করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে না। করণীয়গুলো জানা থাকলে নিজেদের সামর্থ্য দিয়েই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
বিগত বন্যার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সময়মত আগাম তথ্য পাওয়ার কারণে সরকার বিগত বন্যায় পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পেরেছে। এর ফলে ত্রাণ বিতরণ, বানভাসী মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা ও তাদের থাকা-খাওয়া নিশ্চিত করতে পেরেছে। উত্তরাঞ্চলের বন্যার অভিজ্ঞতা থেকে সরকার সে এলাকার গরিব, অসহায়, বৃদ্ধ মানুষের ঘরবাড়ি উঁচু করে দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়ে দুর্যোগ সহনশীল জাতি গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
ব্রাক সেন্টারের পরিচালক সায়েদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, বিশেষজ্ঞ প্যানেল সত্যব্রত সাহা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশন এর ফার্স্ট সেক্রেটারি মিস দরিয়ের্তি বোস প্রমুখ।
এছাড়া কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইউনিয়ন ও উপজেলা চেয়ারম্যান, এনজিও প্রতিনিধি, আইএনজিও প্রতিনিধি ও বিভিন্ন দুর্যোগে ভুক্তভোগী অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।