নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকলে আ’লীগের সমস্যা কোথায়?

0
517
blank
blank

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের বুঝে আসে না আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমস্যা কোথায়? শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আমির খসরু বলেন, দেশের যে কোনো ধরনের দুর্যোগ উত্তরণে সেনাবাহিনীর অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। তাহলে একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে এই বাহিনীর ভূমিকা থাকলে ক্ষতি কী?

তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারটি সরকারের কাছে এত স্পর্শকাতর হয়ে গেল কেন- তা দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে। কারণ সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এতগুলো নির্বাচন হলো একটিও প্রশ্নবিদ্ধ হলো না। কিন্তু সেনাবাহিনী ছাড়া নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলো। তাহলে তাদের তদারকিতে নির্বাচনের বিষয়টি স্পর্শকাতর হলো কেন?

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগ) কাছে সেনাবাহিনী স্পর্শকাতর। কারণ, তারা ভয় পাচ্ছেন নিজেদের দুর্বলতার কারণে।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মানুষের যে কোনো দুর্যোগের সামনে দাঁড়িয়েছে। ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার মতো এত বড় বিপদ বা দুর্যোগ আর নেই। এমন দুর্যোগে সেনাবাহিনীর ভূমিকা থাকলে তাদের (আওয়ামী লীগ) সমস্যা কোথায়? নিশ্চয়, ডাল মে কুচ কালা হয়া। কোনো সমস্যা অবশ্যই আছে, না হলে তাদের ভয় কেন?

আগামী সংসদ নির্বাচনে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রত্যাশা করছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা।

সরকার উন্নয়নের নামে ধোঁকা দিচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, উন্নয়নের মূল ভিত্তি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান। আট বছর আগে দেশের মানুষের যে জীবনযাত্রার মান ছিল আজকে সেই অবস্থান থেকে ৯-১০ শতাংশ কমে গেছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে আমরা আজ সর্বনিম্ন। দেশে সাড়ে ৪ কোটি মানুষ বেকার। যাদের চাকরি আছে তাদের জীবনযাত্রার মানও কমে গেছে। বাংলাদেশে আজকে ব্যক্তিগত কোনো বিনিয়োগ নেই। বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে না।

আমির খসরু বলেন, সরকারি বিনিয়োগে যে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে এর টাকাটা বিদেশে চলে যাচ্ছে। এই টাকা সুইস ব্যাংকে যাচ্ছে। লন্ডন মালয়েশিয়া ও কানাডাও যাচ্ছে, বাড়ি করছে। এগুলো সব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা করছে। বিশ্ব এখন ওপেন। কার বাড়ি কোথায় সব জানা যায়। এগুলো লুকানো সম্ভব নয়। পানামা পেপারসে তাদের নাম এসেছে। ব্যাংকগুলো খারাপ পরিস্থিতি করে রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে দুই বছর আগে। এখনও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করছে না। কারণ এই টাকা চুরি করার পেছনে তাদের লোকজন জড়িত।

‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ নামে সংগঠনের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এস এম হাসান তালুকদার, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।