বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচন করা সহজ হবে না: মির্জা ফখরুল

0
565
blank
blank

ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপিকে বাইরে রেখে একাদশ নির্বাচন করা ‘সহজ হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বিএনপিকে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “নিবন্ধন বাতিল নিয়ে উই আর নট কনসার্ন। বিএনপিকে বাদ দিয়ে যদি তারা নির্বাচন করতে চায় করুক না- এতো সোজা না তো।

“বিএনপি ইজ দ্য লার্জেস্ট পলিটিক্যাল পার্টি ইন দিস কান্ট্রি এবং এই পলিটিক্যাল পার্টিকে বাদ দিয়ে একটা নির্বাচন তারা করেছে, যে নির্বাচনের কোনো লেজিটিমেসি তারা পায়নি। প্রত্যেকে ভারতও পর্যন্ত বলে যে এটা লেজিটিমেট ইলেকশন হয়নি।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা বলতে চাই, আবারও যদি তারা বিএনপিকে বাদ দিয়ে সেই অবস্থা তৈরি করে, সরকার কখনই সারা বিশ্বের কেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।”

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি না থাকলেও নির্বাচন হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ভয় না দেখিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তারা অন্তর্বর্তীকালীন সহায়ক সরকার চাইছে।

নির্বাচনে যাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে ‘পরিবেশ তৈরির’ বিষয়টি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা বরাবরই বলেছি, আমরা নির্বাচনমুখী দল, আমরা নির্বাচন করতে চাই। সেই নির্বাচন করার জন্য তো উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সচেতনভাবে সেই পদ্ধতিকে নষ্ট করেছে।

“তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য ভিন্ন আঙ্গিকে আজকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। এখানে কখনই কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। নির্বাচন যখন হবে, ইট মাস্ট বি নিউট্রাল। এখানে সরকারকে নিউট্রাল হতে হবে, নির্বাচন কমিশনকেও নিউট্রাল রোল প্লে করতে হবে। প্রতিটি ভোটার যেন ভোট দিতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে।”

একাদশ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ‘সঠিক সময়ে’ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়া হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

সহায়ক সরকারের রূপরেখা কি হবে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, “মূল ফোকাস থাকবে কিভাবে একটি নির্বাচন করা যেতে পারে। নির্বাচনটা যেন দল নিরপেক্ষ হয়, সেই নির্বাচনে যেন জনগণ গিয়ে ভোট দিতে পারে, তার ভোট দেওয়ার অধিকারটা প্রয়োগ করতে পারে- এই বিষয়টা হবে প্রধান। সেটা নিঃসন্দেহে এদেশের জন্য, জনগনের জন্য ও তাদের অধিকার আদায়ের জন্য- সেই ধরনেরই একটা প্রস্তাব দেওয়া হবে।”