সিলেটে রাগীব আলী ও তার ছেলের ১৪ বছরের কারাদন্ড

0
503
blank
blank

সিলেট: সিলেটের কথিত শিল্পপতি ও দানবীর রাগীব আলী এবং তার ছেলে আবদুল হাইকে চারটি ধারায় মোট ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সিলেটের তারাপুর চা বাগানের বন্দোবস্ত নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলায় বৃহস্পতিবার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা দিকে রাগীব আলী ও তার ছেলেকে কড়া নিরাপত্তায় সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান দখল করে নেন রাগীব আলী। প্রায় ৪২৩ একর ভূমির তারাপুর চা বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ওই চা বাগান দখল করতে গিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্র জালিয়াতি করেন তিনি।
এ নিয়ে ২০০৫ সালে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা দুটি মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে একটি রিট পিটিশনের ভিত্তিতে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি তারাপুরে রাগীব আলীর দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একইসাথে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে স্মারক জালিয়াতি ও আত্মসাৎ মামলা দুটি পুনরুজ্জীবিত করারও নির্দেশ দেন আদালত। ওই বছরের ১০ জুলাই রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে রুজিনা কাদের, জামাতা আবদুল কাদের, নিকটাত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ ও তারাপুর চা-বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ গুপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত ১২ আগস্ট এদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিনই ছেলেকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী। গত বছরের ১২ নভেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত গ্রেফতার হন আবদুল হাই। পরে ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জে গ্রেফতার হন রাগীব আলী।
পরবর্তী সময়ে ২৪ নভেম্বর বিয়ানিবাজারের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে রাগীব আলীকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ।