অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্র তৈরী প্রকল্পের টাকা ভাগাভাগি: টিআইবি

0
432
blank

ঢাকা: বিভিন্ন সরকারের আমলে নির্মিত অধিকাংশ ঘুর্নিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরী। ফলে এসব আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে বলে টিআইবির গবেষনায় বেরিয়ে এসেছে। টিআইবি বলছে, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মানের ৩০ শতাংশ অর্থ বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ-বাটোয়ারা হয়। পাশাপাশি ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর সময় আগে থেকে জনগনকে সতর্কবার্তা দেয়া হয়নি। ত্রান সামগ্রী বিতরন ও তালিকা প্রনয়নে রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ঘুর্নিঝড় রোয়ানু: দুর্যোগ মোকাবেলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরনের উপায় নিয়ে এক প্রতিবেদনে বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে টিআইবিরর এই প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন টিআইবির চেয়ারম্যান এডভোকেট সুলতানা কামাল ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। প্রতিবেদন তুলে ধরেন, এম জাকির হোসেন খান, নিহার রঞ্জন রায়, নাহিদ শারমীন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর আগে ১০টি ইউনিয়নে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ, পোল্ডার, আশ্রয়কেন্দ্র চিহৃিত না করা ও ওসব কেন্দ্র সংস্কারের অভাব রয়েছে। উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব সবসময়ই কাজ করে। যা ঘুর্নিঝড় রোয়ানু পরবর্তী সময়েও হয়েছে। তাদের পছন্দের লোকদের মাঝেই সরকারিভাবে ত্রান বিতরনের জন্য তারা প্রভাব বিস্তার করেন। জেলা প্রশাসককে এসমস্যা জানালে তিনি সরকারিভাবে ৫৫ ভাগ এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় ৪৫ ভাগ উপকারভোগী নির্বাচন করতে পরামর্শ দেন।