জঙ্গিরা শেষ হয়েছে ভাববার সুযোগ নেই: ওবায়দুল কাদের

0
481
blank

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শোলাকিয়া ও হলি আর্টিজানের ঘটনার পর দেশের মানুষ ভেবেছিল জঙ্গিরা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তার পরও কল্যাণপুর ও আশকোনার জঙ্গি আস্তানা পাওয়া গেছে। অতএব জঙ্গিরা শেষ হয়ে গেছে ভাববার কোনও সুযোগ নেই। তারা যে আরও বড় ধরণের আক্রমনের প্রস্তুতি নিচ্ছেনা এটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। বুধবার বিকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ এ সভার আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, জঙ্গিরা শেষ হয়েও হয়না শেষ। সাম্প্রতিক জঙ্গি অভিযানগুলোতে ‘মিলিটেন্সি’ এবং ‘সুইসাইড’ স্কোয়াড পাওয়া গেছে। তারা পরিবার ভিত্তিক মিলিটেন্সি স্কোয়াড গড়ে তুলেছে। এদের থেকে সাবধান হতে হবে। কারণ এরা হল গ্লোবাল ফেনোমেনা। জঙ্গিরা শুধু বাংলাদেশেই নয় এদের কারণে বার্লিনের মতো শহরও কেঁপে ওঠে। প্যারিসের মতো শহরও এদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। তাই এখনই সময় নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলতে হবে। এসময় কৌশল ও সাহসের সঙ্গে জঙ্গি দমনে ভূমিকা রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে দুটি নামের কখনও মৃত্যু হবেনা। একটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অপরটি শেখ হাসিনা। ৪১ বছরে বাংলাদেশের দক্ষ শাসক, দক্ষ কুটনীতিক ও বিচক্ষণ রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে শুধু দেশীয় নয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও চলছে। পুরো পরিবার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সর্বশেষ বিমানের যে ঘটনা ঘটলো এটাকে একেবারে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। এর আগেও ১৯ বার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার বিমানের ঘটনা দিয়ে ২০ বার তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হল। কিন্তু আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে বলার কিছু না পেয়ে তিনি বলেছেন উপর দিয়ে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট। আসলে তারাই ষড়যন্ত্র করে বলে সব জায়গায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পায়। বলার কিছু না পেয়ে এখন অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এসে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। ২৫ টি সূচকে তারা বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে। পাকিস্তানের জিডিপি এখন ৪ দশমিক ৭ আর বাংলাদেশের জিডিপি ৭ দশমিক ৫ । কোথায় পকিস্তান আর কোথায় আমরা। পৃথিবীতে আজ পাকিস্তান সবচেয়ে বিপদজনক দেশে পরিণত হয়েছে। যেখানে সাম্প্রদায়িক সুইসাইড বাহিনীর হামলায় প্রায় প্রতিদিনই হাসপাতাল ভরছে। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মাত্র একটি জিনিসে পিছিয়ে রয়েছে। সেটা হল পারমানবিক অস্ত্র। মানব বিধ্বংসী অস্ত্রেই শুধু আমরা পিছে রয়েছি। আলোচনাসভায় স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা: এসএ মালেকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান প্রমুখ।